সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ ইউনিয়ন বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। সেতুর পশ্চিম পাড়ে সয়দাবাদ রেলস্টেশনের উত্তরে মোহনপুর নৌকাঘাট। এতদিন জমজমাট না হলেও করোনার লকডাউনে যানবাহন বন্ধ থাকায় এটি বেশ জমজমাট এখন। এঘাট দিয়ে নৌকায় যমুনা পাড়ি দিয়ে টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর হয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রতিদিন ঢাকা ছুটছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন।

জানা গেছে, স্থানীয় একটি দালাল চক্র ঘাটটি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সহজেই এ ঘাট দিয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় লোকজন পাঠিয়ে দিচ্ছে তারা। ৭০/১০০ টাকার ভাড়ার বিনিময়ে যমুনা পাড়ি দিয়ে নৌকায় ভুয়াপুর ঘাট। পরে ট্রাকে চড়ে ঢাকা যাচ্ছেন অনেকেই। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে মোহানপুরঘাটে গিয়ে নৌকায় ভুয়াপুরে যাত্রী পাঠানোর রমরমা দৃশ্য দেখা যায়। এ ঘাটেই নয়, সেতুর উত্তরের যমুনা পাড়ে সদর মতিসাহেবের ঘাট, বিয়ারা, রানীগ্রাম, বিএলস্কুল সংলগ্ন বাঁশ ঘাটের আশপাশ থেকে ভোর বেলায় পুলিশের চোখে ধুলোরদিয়ে ভুয়াপুরের দিকে প্রতিদিনই কয়েক ডজন নৌকা ছেড়ে যায়। করোনার সময় অবৈভাবেরযাত্রী পরিবহনের দায়ে সম্প্রতি বিএলস্কুলের সামনে বাঁশ ঘাটে যাত্রবাহী নামিয়ে একটি নৌকায় আগুন দেয়া হলেও সতর্ক হননি স্থানীয় নৌকার মাঝিরা।

বঙ্গবন্ধু পশ্চিম থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম বিকেলে বলেন, ঘাটটি সদর থানা সীমানার মধ্যে। কয়েকদিন আগে নৌকার ভাড়া নিয়ে এক যাত্রীকে মারপিট করার ঘটনা শুনে সেখানে গিয়েছিলাম। পরে সদর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। এ ঘাট থেকে ভুয়াপুর হয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রতিদিন ঢাকা ছুটছে শত শত  মানুষ। নৌপুলিশও বিষয়টি জানে। তাদের নিজস্ব যানবাহন না থাকায় তারাও সেভাবে অভিযান চালাতে পারে না। 

নৌপুলিশের এসআই মাহমুদুর রহমান বলেন, এত বড় যমুনা, কখন কোথা থেকে নৌকা ছেড়ে যায়, ঠেকানো মুশকিল।