- সারাদেশ
- স্বজনের কাছে গিয়ে ভারতে আটকা ২৬ বাংলাদেশি, সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন
স্বজনের কাছে গিয়ে ভারতে আটকা ২৬ বাংলাদেশি, সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন

আটকা পড়া স্বজনদের সন্ধান চেয়ে স্বজনদের মানববন্ধন- সমকাল
বৈধ পাসপোর্ট ও ভ্রমণ ভিসায় ভারতের আসাম রাজ্যের জোরহাট এলাকায় স্বজনদরে কাছে গিয়ে আটকে পড়া কুড়িগ্রামের চিলমারীর ২৬ ব্যক্তির সন্ধান এবং বর্তমান অবস্থা জানতে চেয়ে মানববন্ধন করেছেন তাদের স্বজনেরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জেলা শহরের কলেজ মোড় এলাকায় এসে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কের পাশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করেন তারা।
এছাড়াও পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর লিখিত স্মারকলিপি দেন তারা; জেলা প্রশাসকের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে ভারতে আটকে থাকা সাইফুল ইসলামের ভাই মো. মাসুদ রানাসহ অন্যান্যের স্বজনেরা জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত সাইফুল ইসলাম, ছবিয়ার রহমান, চাঁন মিয়া, বকুল মিয়া, আবুল ফরিশ, আনোয়ার হোসেন, রাজা মিয়া, মাইদুল ইসলাম, মানিক মিয়া, রেজাউল করিম, সহিদুল ইসলাম, নিরু মিয়া, হযরত আলী, আনারুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, নবিকুল ইসলাম, বিপ্লব মিয়া, এছানুল হক, আবু হানিফ, নুরুল হক, আবু বক্কর সিদ্দিক, আয়নাল হক, শাহ আলম, মো. হাফিজুর, আলম মিয়া ও ইউনুস আলী-এই ২৬ বাংলাদেশের বুড়িমারী এবং ভারতে চেংরাবান্ধা চেকপোষ্ট দিয়ে আসাম রাজ্যের জোরহাট এলাকায় আত্মীয়ের বাড়িতে যান।
তারা জানান, এরপর করোনা ভাইরাস পরিস্হিতির কারণে লকডাউনের কারণে সেখানে আটকা পড়েন তারা। এ অবস্থায় ভারতের দ্বিতীয় দফা লকডাউনের শেষ দিন ৩ মে কিছু সময়ের জন্য চেকপোষ্ট খুলে দেওয়া হবে এমন খবরের ভিত্তিতে বাড়ি ফেরার জন্য জোরহাট থেকে ধুবড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা। কিন্তু পথে ভারতের চাপোবৎ থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
নিখোঁজদের স্বজনেরা জানান, এরপর ৫ মে সকাল ১০ টার দিকে এবং ৬ মে দুপুর ২ টার দিকে ভিডিও কলের মাধ্যমে স্বজনদের সাথে কথা বলতে দেন ওই থানার পুলিশ। এ সময় তাদের উপর নির্যাতন চালানোর কথা বলেন তারা। এরপর থেকে তাদের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
চিলমারীর রমনা সরকারপাড়া গ্রামের অধিবাসী ও কেন্দ্রীয় রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সভাপতি নাহিদ হাসান জানান, সবধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় আটকে পড়াদের বর্তমান অবস্থা এবং অবস্থান জানতে না পেরে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তাদের স্বজনরা।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, স্মারকলিপি পেয়েছেন। এই স্মারকলিপি পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন