- সারাদেশ
- চরের দখল নিতে চকরিয়ায় সেহরির সময় লুটপাট
চরের দখল নিতে চকরিয়ায় সেহরির সময় লুটপাট
একযোগে ২৬ বাড়িতে আগুন গুলিবর্ষণ এক নারী নিহত

সন্ত্রাসীদের দেওয়া আগুনে কক্সবাজারের চকরিয়ার খিলছাদক গ্রামে পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি - সমকাল
মাতামুহুরী নদীর তীরে জেগে উঠেছে চর। সেই চরের জায়গার দখল নিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে একদল সন্ত্রাসী বর্বরতার ঝড় বইয়ে দিয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খিলছাদক গ্রামে। ওই সময় সেহরি খেয়ে গ্রামটির ২৬টি একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যরা ঘুমাতে যাচ্ছিলেন।
শতাধিক সন্ত্রাসী এ সময় গ্রামটির সব বসতবাড়িতে আগুন দিয়ে সবকিছু পুড়িয়ে দেয়। লুট করে নেয় এসব পরিবারের টাকা, গবাদি পশু, মূল্যবান মালপত্রসহ কোটি টাকার সম্পদ। এ সময় আগুনে পুড়ে মারা যান পঞ্চাশোর্ধ এক নারী। গুলি লেগে ও ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে আহত হয়েছেন বৃদ্ধ নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ জন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে গুরুতর আহত কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুন লেগে এবং সন্ত্রাসের কারণে কয়েক কোটি টাকার সম্পদেরও ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী জানায়, এ সময় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অন্তত অর্ধশত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া নারী মনোয়ারা বেগম (৫৫) ওই গ্রামের মোজাহের আহমদের (৭০) দ্বিতীয় স্ত্রী। এ ঘটনায় মোজাহের আহমেদও
আহত হয়েছেন। গুলি লেগে আহত দু'জনের মধ্যে রয়েছেন হাবিবুর মো. আলম (৪৫) ও মো. বাবলু (২২)। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন নবীর হোছাইন (৫০), আবু ছালেক (৪২), ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন (২৫), মো. মুরাদ (২৩) প্রমুখ।
খিলছাদক গ্রামের লোকজনের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে তাদের গ্রামের বিশাল অংশ মাতামুহুরী নদীর ভাঙনের ফলে বিলীন হয়ে যায়। তবে কয়েক বছর ধরে নদীতে তলিয়ে যাওয়া সেই জায়গা ধীরে ধীরে জেগে উঠতে থাকে। যাদের জায়গা জেগে ওঠে তারা ফের সেখানে বসতি গড়ে তুলতে শুরু করে। কিন্তু নদীর ওপার তথা পাশের ইউনিয়ন বরইতলীর গোবিন্দপুর গ্রামের সশস্ত্র লোকজন এপারে এসে বার বার জেগে ওঠা জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে আরও সংঘবদ্ধভাবে খিলছাদক গ্রামে হামলা চালানো হয়।
এই নারকীয় তাণ্ডবের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. সাইফুল হাছান, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম, এসআই অপু বড়ূয়া, বরইতলী ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার ও মক্কী ইকবাল হোসেন।
ওসি মো. হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে জানান, কৈয়ারবিলের খিলছাদক অংশে মাতামুহুরী নদী শিকস্তির জায়গার দখল নিতে এই নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে পাশের ইউনিয়নের একদল গ্রামবাসী। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার সময় এক নারী আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন নারী-পুরুষ আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি বলেন, 'পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। যারাই এই অমানবিক ঘটনায় জড়িত থাকুক না কেন, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, 'এসব পরিবারকে সরকারিভাবে সার্বিক সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসন করা দরকার। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে মধ্যযুগীয় এই বর্বরতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে সহায়তাও করা হবে। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে করে কঠোর শাস্তিও নিশ্চিত করা হবে।'
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত ২৬ পরিবারের খাদ্য ও বাসস্থান নিশ্চিত করতে প্রাথমিকভাবে এক বস্তা করে চাল, দুই বান্ডেল ঢেউটিন ও সরকারিভাবে আরও দুই বান্ডেল করে ঢেউটিন দেওয়া হয়েছে। এর পরও তাদের সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে। যারা এই তাণ্ডবে জড়িত তাদের আটক করে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।'
শতাধিক সন্ত্রাসী এ সময় গ্রামটির সব বসতবাড়িতে আগুন দিয়ে সবকিছু পুড়িয়ে দেয়। লুট করে নেয় এসব পরিবারের টাকা, গবাদি পশু, মূল্যবান মালপত্রসহ কোটি টাকার সম্পদ। এ সময় আগুনে পুড়ে মারা যান পঞ্চাশোর্ধ এক নারী। গুলি লেগে ও ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে আহত হয়েছেন বৃদ্ধ নারী-পুরুষসহ অন্তত ২০ জন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে গুরুতর আহত কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুন লেগে এবং সন্ত্রাসের কারণে কয়েক কোটি টাকার সম্পদেরও ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী জানায়, এ সময় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অন্তত অর্ধশত রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া নারী মনোয়ারা বেগম (৫৫) ওই গ্রামের মোজাহের আহমদের (৭০) দ্বিতীয় স্ত্রী। এ ঘটনায় মোজাহের আহমেদও
আহত হয়েছেন। গুলি লেগে আহত দু'জনের মধ্যে রয়েছেন হাবিবুর মো. আলম (৪৫) ও মো. বাবলু (২২)। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন নবীর হোছাইন (৫০), আবু ছালেক (৪২), ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন (২৫), মো. মুরাদ (২৩) প্রমুখ।
খিলছাদক গ্রামের লোকজনের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে তাদের গ্রামের বিশাল অংশ মাতামুহুরী নদীর ভাঙনের ফলে বিলীন হয়ে যায়। তবে কয়েক বছর ধরে নদীতে তলিয়ে যাওয়া সেই জায়গা ধীরে ধীরে জেগে উঠতে থাকে। যাদের জায়গা জেগে ওঠে তারা ফের সেখানে বসতি গড়ে তুলতে শুরু করে। কিন্তু নদীর ওপার তথা পাশের ইউনিয়ন বরইতলীর গোবিন্দপুর গ্রামের সশস্ত্র লোকজন এপারে এসে বার বার জেগে ওঠা জায়গা দখলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে আরও সংঘবদ্ধভাবে খিলছাদক গ্রামে হামলা চালানো হয়।
এই নারকীয় তাণ্ডবের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. সাইফুল হাছান, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম, এসআই অপু বড়ূয়া, বরইতলী ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার ও মক্কী ইকবাল হোসেন।
ওসি মো. হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে জানান, কৈয়ারবিলের খিলছাদক অংশে মাতামুহুরী নদী শিকস্তির জায়গার দখল নিতে এই নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে পাশের ইউনিয়নের একদল গ্রামবাসী। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার সময় এক নারী আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন নারী-পুরুষ আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি বলেন, 'পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। যারাই এই অমানবিক ঘটনায় জড়িত থাকুক না কেন, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, 'এসব পরিবারকে সরকারিভাবে সার্বিক সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসন করা দরকার। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে মধ্যযুগীয় এই বর্বরতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোকে সহায়তাও করা হবে। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে করে কঠোর শাস্তিও নিশ্চিত করা হবে।'
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত ২৬ পরিবারের খাদ্য ও বাসস্থান নিশ্চিত করতে প্রাথমিকভাবে এক বস্তা করে চাল, দুই বান্ডেল ঢেউটিন ও সরকারিভাবে আরও দুই বান্ডেল করে ঢেউটিন দেওয়া হয়েছে। এর পরও তাদের সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে। যারা এই তাণ্ডবে জড়িত তাদের আটক করে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।'
মন্তব্য করুন