টাঙ্গাইলের সখীপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ছয়জনই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আক্রান্ত ওই ছয়জনের আইইডিসিআরের নমুনা রিপোর্টে ফলাফল নেগেটিভ পাওয়া গেছে।

আক্রান্ত ওই ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই ছিলেন এক পরিবারের। স্বামী, স্ত্রী ও ছেলে- মেয়ে। ওই ছয়জনের নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া যাওয়ায় সখীপুর উপজেলায় বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণমুক্ত।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুস সোবহান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লাঙ্গুলিয়া গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী রিপন ঢাকায় শাক-সবজি নিয়ে বিক্রি করতো। ২২ এপ্রিল তার শরীরে করোনা ‘পজেটিভ’ শনাক্ত হয়। পরে তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। রিপোর্টে সবার শরীরেও করোনা শনাক্ত হয়। অন্যদিকে ২৭ এপ্রিল প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের চালক পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোনা মিয়ার শরীরে করোনা ‘পজেটিভ’ শনাক্ত হয়। তারা নিজ বাড়িতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চিকিৎসা সেবা নেন। দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সবার শরীরে আইইডিসিআরের রিপোর্টে নেগেটিভ পাওয়া যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুস সোবহান জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৫২ জনের নমুনা রিপোর্ট আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ২৪৬ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৬জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গিয়েছিল। তারা সবাই এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। আশা করছি, বাকি ছয়জনের নমুনা রিপোর্টও নেভেটিভ আসবে।

সখীপুর থানার ওসি মো. আমির হোসেন বলেন, এলাকাবাসী ভয়ে ওই পরিবারকে আগুনে পুড়ে ফেলার ক্ষোভও প্রকাশ করেছিল। তাদেরকে বুঝিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এখন এলাকাবাসীর মধ্যে করোনা আতঙ্ক কেটে মোকাবেলার সাহস তৈরি হয়েছে।

ইউএনও আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঘরে অবস্থান ও তাদের খাবার এবং ওষুধপত্র ঘরে পৌঁছে দেওয়ায় অতি দ্রুত সময়ে সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। ভালোবাসা দিয়ে আমরা করোনা রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পেরেছি।