- সারাদেশ
- মিঠামইনে ত্রাণের তালিকায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী-পুত্রের নাম
মিঠামইনে ত্রাণের তালিকায় ইউপি সদস্যের স্ত্রী-পুত্রের নাম

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়ন পরিষদে করোনা দুর্যোগকালীন আসা ত্রাণের তালিকায় ইউপি মেম্বারদের স্ত্রী-পুত্রের নাম অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হোসেন মিয়া, মোহাম্মদ আলী, সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে। তাদের এমন দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হয়েছেন ৪০টি কর্মহীন দুস্থ পরিবার। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ৪০টি পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিকের কাছেও মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন আকলিমা আক্তার নামে এক নারী।
৪০টি পরিবারের পক্ষে ৭নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী দিনমজুর তাহের আলী, ৮নং ওয়ার্ডে হাজেরা খাতুন ও ৯নং ওয়ার্ডের শাহেরা জানান, করোনায় সহায়তা হিসেবে কাটখাল ইউনিয়নে আসা বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে তারা কিছুই পায়নি। তারা অভিযোগ করেন, ইউপি সদস্যরা তাদের আত্মীয়স্বজনের নাম ত্রাণের তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করেছেন। এর মধ্যে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রাহেলা খাতুন, দুই ছেলে আতিক ও সাইফুলের নাম রয়েছে।
এছাড়াও তাদের আত্মীয় এলাছ মিয়া ও তার স্ত্রী পারভিনের নাম রয়েছে একই তালিকায়। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য ডালিয়া আক্তারের ছেলে হুসাইন মিয়ার নামও রয়েছে তালিকায়। এভাবে এই তিনটি ওয়ার্ডে ইউপি মেম্বারদেও স্বজনের অসংখ্য নাম রয়েছে ত্রাণের তালিকায়।
এ ব্যাপাওে অভিযুক্ত ৮নং ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, তার ওয়ার্ড থেকে তালিকায় ১২০টি নাম দেওয়া হয়েছে। তিনি সঠিকভাবে তালিকা করেছেন। যারা এখনও পাননি পরবর্তীতে তাদের নাম দেওয়া হবে।
একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হোসেন মিয়া ও ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কাটখাল ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরাই তালিকা করে থাকেন। জানা মতে কোন অনিয়ম হয়নি। যদি কেউ বাদ পরে থাকেন, তবে পরবর্তীতে তাদের দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন