‌‘‘সকাল ১০টা। মোবাইল ফোনের মেসেজ টোন বেজে ওঠে। মেসেজটি খুলে দেখি দুই হাজার পাঁচশত ছয়ত্রিশ টাকার একটা মেসেজ এসেছে। লেখা রয়েছে- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ‘নগদ’-এর মাধ্যমে পেয়েছেন। টাকাটা পেয়ে আমার খুব সুবিধা হয়েছে। করোনার কারণে ঘরে বসা। কোনো কাজকর্ম নেই। দরিদ্র পরিবার। সামান্য দর্জির কাজ করে সংসার চালাতে হয়। ঈদ সামনে। হাতে একটা টাকাও নেই। চিন্তায় ছিলাম কিভাবে খেয়ে পরে বাচঁবো। ঠিক সেই মুহুর্তে প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে উপহার পাঠিয়েছেন তার জন্য আমি খুবই খুশি। আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে দোয়া করবো। হে আল্লাহ তুমি তাকে (প্রধানমন্ত্রীকে) দীর্ঘায়ু দান করো।’’

এভাবেই কথাগুলো বলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের দর্জির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা নাসির উদ্দীন মুন্সী।

শুধু নাসির মুন্সী নন। একই রকম অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন একই উপজেলার বেশ কয়েকজন দরিদ্র মানুষ।

তারা বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে উপকার করলেন তা কোনোদিনও ভোলার নয়। করোনার সময় আয় রোজগার নাই। ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। ঠিক সেই সময় প্রধানমন্ত্রী আমাদের উপহার হিসেবে অনুদান পাঠিয়েছেন। তাও আবার মোবাইলের মাধ্যমে। যখন খুশি তখন উঠাতে পারবো। প্রয়োজন মতো জিনিস পত্র কিনতে পারবো। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’

শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ঈদ উপহার নিয়ে এসব অনুভূতি ব্যক্ত করেন উপহার পাওয়া দরিদ্র মানুষরা। দেশব্যাপী করোনাভাইরাসে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে মোবাইল ব্যাংকিং পরিশেবার মাধমে নগদ অর্থ প্রদান কর্মসূচির উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে কুমিল্লা অংশে ভিডিও কনফারেন্স এর আয়োজন করা হয়।