নোয়াখালীতে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ আরও ২০ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একজন নার্সের করোনা শনাক্ত হওয়ায় শুক্রবার দুপুরে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। 

নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালীতে ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স এবং কবিরহাট উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস জানান, উপজেলায় নতুন করে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শনাক্ত ব্যক্তিদের নমুনা গত বুধবার সংগ্রহ করে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছিল। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহেলায় সুলতানা ঝুমা জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২৭ বছর বয়সী এক নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার তার নমুনা নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে প্রেরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক কোয়াটারে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তিনিই সুবর্নচর উপজেলার প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে হাসপাতালের সকল স্টাফের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হবে।

সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ইবনুল হাছান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করা হলেও জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। 

কবির হাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিদ্যুৎ কুমার মজুমদার জানান, উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নে ৩২ বছর বয়সী এক স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া বাটইয়া ইয়নিয়নের ১৯ বছর বয়সী এক নারী ও ২৭ বছর বয়সী এক পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও ঘোষবাগ ইউনিয়নের ৩৪ বছর বয়সী ঢাকা ফেরত এক যুবকের করোনা শনাক্ত হয়। উপসর্গ না থাকায় তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। 

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. সালজার হোসেন বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে স্থাপিত কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে কর্মরত ৩৫ বছর বয়সী এক নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া নোয়াখালী পৌলসভার সোনাপুর এলাকার ২০ ও ২৫ বছর বয়সী দুই ভাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।  এছাড়া সদর উপজেল এওয়াজ বালিয়া ইউনিয়নের ২৭ বছর বয়সী এক যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আক্রান্ত দুই ভাইকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।