মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার সোনালী ব্যাংক(ট্রেজারী শাখার) ছয় কর্মকর্তার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার শাখাটির ব্যবস্থাপক এজাজুল মণি চৌধুরী ও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তথ্যটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক গজারিয়া শাখার মোট ১২জন কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে ছয় জনের কভিড-১৯ শনাক্তের ফলে তাদের কাছ থেকে গত এক সপ্তাকে সেবা গ্রহণকারীরা রয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকি ও উৎকণ্ঠার মধ্যে। সংশ্লিষ্ট শাখাটি স্বাভাবিক ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি সাড়ে তিন হাজার মানুষকে বয়স্ক,মাতৃত্বকালীন,মুক্তিযোদ্ধা ,প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধাভোগীকে সেবা দিয়ে থাকেন। যে কর্মকর্তাদের করোনা পজেটিভ প্রতিবেদন পাওয়া গেছে তাদের সরাসরি সংস্পশের্  এসে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সহস্রাধিক সুবিধাভোগী বয়স্ক ভাতা গ্রহণ করেছেন। পজেটিভ কর্মকর্তাদের সংস্পর্শে এসে তাদের হাত থেকে ভাতার টাকা গ্রহণকারীরা সুবিধাভোগীরা পড়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শুক্রবার পজেটিভ হওয়া ব্যাংক কর্মকর্তাদের সংস্পর্শে আসা কয়েক হাজার গ্রাহক ও গত বুধবার পজেটিভ শনাক্ত হওয়া দুইজন প্রতিনিধি (চেয়ারম্যান) ও মৎস্য কর্মকর্তার সংস্পর্শে খাদ্য সহায়তাসহ বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণকারী সমাজের বিভিন্ন স্তরের কয়েক হাজার মানুষ রয়েছে ঝুঁকিতে।

সোনালী ব্যাংকের গজারিয়া শাখার ব্যবস্থাপক এজাজুল মণি চৌধুরী বলেন, আক্রান্ত ছয়জনকে নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলশনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের অপর ছয় কর্মকর্তা কর্মচারীকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রয়োজন। নতুবা তারাও যে পজেটিভ নয় কিভাবে বুঝবো? তাদের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।

ব্যাংকের শাখাটি সাময়িক লকডাউনে রাখা প্রয়োজন বলেও মনে করেন ওই কর্মকর্তা।