চট্টগ্রামের পটিয়ায় ঈদ বাজারে চলছে চোর-পুলিশ খেলা। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে এবং বিকেল চারটার পর দোকান বন্ধ রাখার প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে ভিন্ন কৌশলে চলছে কেনাবেচা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পটিয়া পৌর সদর ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ১১ টি মামলার বিপরীতে ৫৯ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পটিয়ার ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা এই অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পান, পটিয়া পৌর সদরের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র শহীদ ছবুর রোড় ও স্টেশন রোড়সহ আশপাশের এলাকার বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ করা হলেও কিছু দোকান কৌশলে খোলা হচ্ছে। দোকানের সামনে কর্মচারী রেখে সাটার খুলে ক্রেতাকে ভেতরে ঢুকিয়ে চলছে অনেক দোকানের বেচাকেনা।

বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্টেশন রোড়ের নিউ মার্কেটের বিভিন্ন কাপড়ের দোকানদার ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখে সাটার আটকে দেন। এরপর দোকানদাররা ক্রেতাদের দোকানের ভেতরে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পটিয়া ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও পুলিশের সহায়তায় সেসব কাপড়ের দোকানের সাটার খোলা হয়।

লাইট ও ফ্যান না থাকা অবস্থায় অন্ধকার দোকানে নারী-শিশু ও পুরুষসহ অন্তত ৩০ জনকে দেখতে পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পটিয়ার ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা। এ সময় ১১ টি দোকানকে ৫৯ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা এবং ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে সতর্ক করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা বলেন, বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ করা হলেও কিছু দোকান কৌশলে খুলছে। দোকানের সামনে কর্মচারী রেখে সাটার খুলে ক্রেতাকে ভেতরে ঢুকিয়ে দোকানের বেচাকেনা করছে।

তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। যদিও প্রশাসন কিংবা পুলিশের লোকজন দেখলেই সবাই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছেন। আজকের জরিমানা এবং ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ী এবং সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এভাবে যারা প্রশাসনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছেন তাদের বিরুদ্ধে আগামীতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা।