শেরপুরের নকলা উপজেলায় ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী ফুটবলার (১৪) সন্তান প্রসব করেছে। মেয়েটির অভিযোগ, প্রায় একবছর আগে প্রতিবেশী আজগর আলী ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয় এবং গত ১৩ মে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।

অভিযুক্ত আজগর নকলা পৌর এলাকার কুর্শাবাদগৈড় মহল্লার মৃত টেপু মিয়ার ছেলে। ওই কিশোরী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বে অংশ নিয়েছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে সে একজন কুশলী খোলোয়ার হিসেবে পরিচিত।

মেয়েটির দিনমজুর বাবা একবছর আগে মারা গেলে পরিবারের খরচ যোগাতে তার মা অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ নেয়। ৬ সদস্যের অসহায় পরিবারকে সাহায্য করতে ওই কিশোরী শেরপুর-টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ফুটবল খেলত।

কিশোরীর স্বজনরা জানান- একবছর আগে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিবেশী আজগর আলী মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েও তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে আজগর। একপর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় একাধিকবার সালিশ বসে। এমনকি কিশোরীর পরিবারকে এলাকা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়।

নকলা থানার ওসি মোঃ আলমগীর শাহ বলেন- ১০ মাস আগের ঘটনা। অথচ একটি বারের জন্যও ভিকটিম কিংবা তার পরিবার পুলিশকে বিষয়টি জানায়নি। বৃহস্পতিবার ৮দিনের সন্তান নিয়ে তারা থানায় আসেন এবং অভিযোগ দেন। আমরা তাৎক্ষণিক আজগর আলীকে গ্রেপ্তার করি। তার বিরুদ্ধে কিশোরীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। 

তিনি বলেন,আজগরকে শুক্রবার বিচারিক হাকিমের আদালকে সোপর্দ করা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা হবে।