সৌদি আরবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বরিশাল বিভাগের চার জেলার ৪৫ গ্রামে রোববার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। তারা চট্টগ্রামের চন্দনাইশ সুফি দরবার শরীফ, সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরীফ এবং আহমাদিয়া জামাত অনুসারী। এ তরিকার অনুসারীরা গত ৯২ বছর যাবত মক্কার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঈদসহ যাবতীয় ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন।

বিভাগের বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা জেলার ৪৫ গ্রামে এ তরিকার অনুসারীরা রয়েছেন। এ তরিকার অনুসারীদের বরিশাল বিভাগে ৭৫টি মসজিদ রয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় প্রধান মসজিদ নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠীর গিরিয়া সুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদে রোববার সকাল ৯টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় করেন মুসুল্লীরা। অন্যান্য সময়ের মতো এবার জামাতের পর কোলাকুলিসহ ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়নি মুসল্লিদের। এছাড়া অন্যান্য বছরের মতো ছিলো না বাড়তি কোন আনুষ্ঠানিকতা, নেই উচ্ছাস-আনন্দ।

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের খানপুরা গ্রামের সাতকানিয়া পীরের অনুসারী জাহাঙ্গির সিকদার এসব তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার বিভাগের ৪ জেলায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ শাহসুফি দরবার শরিফ ও সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরিফের অনুসারী। জেলার হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ, মুলাদী, বাকেরগঞ্জের সুন্দরকাঠী, বরিশাল নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের তাজকাঠি, জিয়া সড়ক, টিয়াখালী, সিকদার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার কয়েক হাজার মানুষও প্রতি বছরের ন্যায় এবারও একদিন আগে রোববার ঈদ উদযাপন করেছেন।

নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের তাজকাঠি এলাকায় হাজি বাড়ি জামে মসজিদের সভাপতি আমীর হোসেন মিঠু বলেন, রোববার সকাল ৯টায় ওই মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় বাবুগঞ্জের খানপুরা গ্রামের সাতকানিয়া পীরের অনুসারী জাহাঙ্গির সিকদার বলেন, সৌদি আরবে চাঁদ দেখা স্বাপেক্ষে ভেটেরেনারী কলেজের পাশে রোববার ঈদের নামাজ আদায় করেন।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে উপকূলীয় এলাকা পটুয়াখালীর গলাচিপার সেনের হাওলা, পশুরীবুনিয়া, নিজহাওলা, কানকুনিপাড়া, বাউফলের রাজনগর, বগা, তাঁতেরকাঠি, মদনপুরা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদি চন্দ্রপাড়া, কনকদিয়া, দিপাশা, শাপলা খালী, আমিরাবাদ, কলাপাড়ার দণি দেবপুর, বরগুনা জেলার আমতলী, পাথরঘাটা, বরগুনা সদর, বেতাগী উপজেলার ৫ সহস্রাধিক অনুসারী, দ্বীপ জেলা ভোলা সদরের ইলিশা, বোরহানউদ্দিনের মুলাইপত্তন, টবগী, পক্ষিয়া, পশ্চিম মুলাইপত্তন এবং লালমোহন পৌর এলাকা ফরাজগঞ্জ ও লাঙ্গলখালী, তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর ও শম্ভুপুর এবং চরফ্যাশন উপজেলার আমিনাবাদ গ্রামর প্রায় ৫ হাজার মানুষ রোববার ঈদ উল ফিতর উদযাপন করেন।