- সারাদেশ
- বাউফলে যুবলীগ কর্মী তাপস হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার
বাউফলে যুবলীগ কর্মী তাপস হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার

রোববার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইমুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ কর্মী তাপস কুমার দাস হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরিটি পুলিশ উদ্ধার করেছে। হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সাইমুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রোববার রাত ১২টার দিকে বাউফল পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাহাপাড়া সনজিৎ সাহার বাড়ির কাছে একটি ডোবা থেকে ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রোববার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইমুনকে ঢাকার বাবু বাজারে একটি কর্মজীবী হোস্টেল থেকে পটুয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে তাপস হত্যা মামলার তিন এজাহারভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার হলো।
সাইমুনের বাড়ি পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াদুদ মিয়া সড়কের পশ্চিম পাশে শান্ত গ্রামে। তার বাবার নাম ঝন্টু প্যাদা।
ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইমুন উদ্ধারকৃত ওই ছুরি দিয়ে যুবলীগ কর্মী তাপসকে আঘাত করার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার দিন ধারণকৃত একটি ভিডিওতে সাইমুনকে ছুরি হাতে যুবলীগ কর্মী তাপসকে আঘাত করতে দেখা যায়। চাকু হাতে সাইমুনের ছবি প্রকাশিত হয় একাধিক সংবাদপত্রে।
পটুয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ নিজস্ব কৌশল ব্যবহার করছে।’
উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতরের আগের দিন ২৪ মে বাউফল শহরের থানা সংলগ্ন জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর সামনে একটি তোরণ নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজ এবং বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক জুয়েলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত যুবলীগ কর্মী তাপস ওইদিন বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাপসাতালে অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে হুকুমের আসামি করে মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন