পাবনা শহরের দিলালপুরে ট্রিপল মার্ডারেররহস্য উদঘাটন না হতেই তার পরদিনই পৃথক ঘটনায় বৃদ্ধকে গুলি ও যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। শনিবার ভোরে জেলার সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ও আতাইকুলা থানার মধুপুর পদ্মবিলা এলাকায় এসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে। 

নিহতরা হলেন- আতাইকুলা থানার মধুপুর পদ্মবিলা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মজনু মিয়া (৪০) ও ভাড়ারা খা পাড়ার মৃত কালু খার ছেলে হুকুম আলী খা (৭০)। 

পাবনা সদর সাকেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দু’টি ঘটনাই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। তবে রাতেই পদ্মবিলার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছেন পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদের সঙ্গে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া সুলতান আহমদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে ২০১৮ সালের ৩ ডিসম্বর রাতে সুলতানের বাবা লষ্কর খা ও চাচা আব্দুল মালেককে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরই জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশও। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি অপারেশন) হাফিজুর রহমান জানান, নিহত হুকুম আলী গত ৩১ মে ১৫ জনকে আসামি করে পাবনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রধান আসামি সুলতান আহমেদ। মামলা দায়েরের কয়েকদিন পরই হত্যার শিকার হয়েছেন হুকুম আলী।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সুলতান আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে আমার কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। সুলতানরা শুধু শুধু আমাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে তারা আমাকে রাজনৈতিকভাবে নানা ধরনের হয়রানি করার চেষ্টা করছেন।

উল্লেখ্য, পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুরে একটি বাড়ি থেকে শুক্রবার দুপুরে একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শহরের ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনের একটি একতলা বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল জব্বার (৬৭), তার স্ত্রী মোছা ছুম্মা খাতুন (৫৮) ও মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা খাতুন (১৪)।