বগুড়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে সাবেক এক সরকারি কর্মকর্তা এবং একটি বেসরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের মৃত্যু হয়েছে। সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- সাবেক পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শহরের সুত্রাপুর রিয়াজ কাজী লেনের বাসিন্দা এ জে ইদ্রিস আলী (৬৭) ও বগুড়া কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ধাওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম (৫৬)।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ওই দু’জনসহ বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট ৬জনের মৃত্যু হলো। ৫ জুন রাত ৮টা পর্যন্ত বগুড়ায় মোট ৫৬৯জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই দিন পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে ৪৯জন সুস্থ হয়েছেন। বগুড়ায় করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ১ দশমিক ০৫ শতাংশ আর সুস্থতার হার ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানান, শহরের সুত্রাপুর রিয়াজ কাজী লেন এলাকার বাসিন্দা দুপচাঁচিয়ার সাবেক পররিসংখ্যান কর্মকর্তা এজে ইদ্রিস আলীর শরীরে কিছুদিন আগে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। তার মেয়ে এবং মেয়ের জামাই দু’জনেই চিকিৎসক হওয়ায় তাকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা পজিটিভ হন। তারপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ৪ জুন তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর শনিবার ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে বগুড়া শহরের ধাওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা বগুড়া কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামকে অসুস্থ অবস্থায় কয়েকদিন আগে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হলে তাকে গত ২ জুন মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতাপলের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, করোনায় মারা যাওয়া দুই ব্যক্তির লাশ জীবাণুমুক্ত করে হাসপাতাল চত্বরেই জানাজা করে দাফনের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।