বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু হানিফ ওরফে মিস্টার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা যুবলীগ নেতা আলহাজ্ব শেখসহ ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহত আবু হানিফ মিস্টারের বাবা আরমান আলী বাদী হয়ে শনিবার রাতে শাজাহানপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে আসামীর তালিকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি (অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা প্রস্তাবিত নতুন কমিটিরও সহ-সভাপতি) আলহাজ্ব শেখকে এক নম্বরে রাখা হয়েছে। তবে আসামীর তালিকায় ৪/৫জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এজাহারে হত্যাকাণ্ডের সুস্পষ্ট কোন কারণ উল্লেখ করা হয়নি। শুধু ‘পূর্ব শত্রুতার কথা বলা হয়েছে। অবশ্য মামলা হলেও রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শাকপালা এলাকার একটি মসজিদে প্রবেশের মুহুর্তে সন্ত্রাসীরা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বগুড়া জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হানিফ মিস্টারের ওপর চড়াও হয়। তারা তাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

ওই হত্যাকাণ্ডের পর পরই বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞাসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু হানিফ মিস্টারের বিরুদ্ধে ৪টি হত্যাসহ ৯টি মামলা ছিল। ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে এশার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, নিহত আবু হানিফ মিস্টারের বাবা শনিবার রাতে শাজাহানপুর থানায় গিয়ে এজাহার দাখিল করেন। তিনি বলেন, এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযুক্তদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।