সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ ছিল ১৮ জুন। কিন্তু সাতদিন আগেই ৩০ বছর বয়সী মুক্তার শুরু হয় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। অন্তঃসত্ত্বা এই নারী দিনভর ঘোরেন এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে। টানা ১৮ ঘণ্টা চেষ্টা করেও পুরো চট্টগ্রামে মেলেনি একটি আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র)। অবশেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডেই মৃত্যু হয় ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর। 

মুক্তার ভাই সোলাইমান রনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমার বোনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সকাল ৯টার দিকে তাকে আমরা প্রথমে আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু তারা ভর্তি না করিয়ে এক্সরে করতে বলে। এক্সরে করার পর বলে আইসিইউ লাগবে। এই সাপোর্ট তাদের নেই। এরপর যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জেনেও সেখানে মুক্তাকে ভর্তি নেওয়া হয় করোনা ওয়ার্ডে। ওয়ার্ড থেকে তাকে আইসিইউতে রেফার করা হলেও সেখানে বলে দেওয়া হয় আইসিইউতে সিট খালি নেই। 

তিনি বলেন, মুক্তার অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। এ অবস্থায় আমার বন্ধুরা সব বেসরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করে একটা আইসিইউ সিটের জন্য। সব দিক থেকেই জানানো হয় কোথাও আইসিইউ সিট খালি নেই। ১৮ ঘণ্টা যুদ্ধের পর কোলে ঢলে পড়ে বোন। বুধবার সকাল ১১টায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। রোগীর আত্মীয়স্বজনরা যদি পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন, তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।