কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পারভেজ হোসেন (২৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, ছিনতাইকালে স্থানীয় লোকজন ওই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিলে তার মৃত্যু হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ওই যুবক স্থানীয় সৈয়দপুর গ্রামের আবদুল মবিনের ছেলে। 

স্থানীয় ও নিহতের স্বজনরা জানান, বুধবার বিকেলে পারভেজ স্থানীয় সৈয়দপুর বাজারে অবস্থান করছিলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ধনুয়াখলা গ্রামের যুবলীগ নেতা শাহীনের নেতৃত্বে ৩/৪ টি মোটরসাইকেল এবং একটি মাইক্রোবাস যোগে ১০/১৫ জনের একটি গ্রুপ সেখানে এসে অতর্কিত তার উপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে মারধর করে মাইক্রোবাসে তুলে কমলাপুর বাজারের একটি মিলে নিয়ে যায়। সেখানে পারভেজকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় কমলাপুর দীঘিরপাড় এলাকার একটি বাগানে ফেলে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ৮টার দিকে তাকে উদ্বার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পথে পারভেজ মারা যান।

পারভেজের মামা চাঁন মিয়া অভিযোগ করেন, কালিবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকান্দর আলীর নির্দেশেই যুবলীগ ক্যাডার শাহীন, সাদ্দাম ও কাউছারের নেতৃত্বে তাদের ক্যাডার বাহিনী নিয়ে আমার ভাগিনাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে। হত্যার পর এখন তাকে ছিনতাইকারী বানিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, যখন ঘটনা ঘটেছে তখন এলাকার লোকজন দেখেছে কারা নির্মমভাবে পারভেজকে পিটিয়েছে। তার দুই পা ভেঙে রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী জানান, আমি ঘটনা পরে জানতে পেরেছি, তাকে তো পুলিশ খুঁজছিল। এলাকায় ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে সে মারা গেছে। 

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, প্রাথমিকভবে আমরা জানতে পেরেছি এলাকায় ছিনতাইকালে স্থানীয় লোকজন ওই যুবককে আটক করে গণপিটুনি দেয়, পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম, বুড়িচং, কোতয়ালীসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরিসহ ৫/৬টি মামলা রয়েছে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে, তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।