বগুড়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক নারীসহ আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- বগুড়া বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষক আবু ইউসুফ (৩৭) ও শহরের ধাওয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা সালেহা খাতুন (৪৯)।

এ নিয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে একদিনে তিন জনের মৃত্যু হলো। এর আগে সকাল পৌণে ৮টায় সাইদুর রহমান নামে অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মকর্তা মারা যান। ওই ৩ জনসহ মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত ১৩জনের মৃত্যু হলো।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষক আবু ইউসুফ গত গত ৬ জুন বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজে করোনার নমুনা পরীক্ষা করান। তখন তার নেগেটিভ আসে। হঠাৎ করে ১১ জুন বৃহস্পতিবার সকালে তার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। এরপর সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে তিনি মারা যান। অন্যদিকে শহরের ধাওয়াপাড়া এলাকার জনৈক মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী সালেহা খাতুন জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বাড়িতেই পাঁচদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে বুধবার রাত পৌনে ১২টায় তাকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে আনা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান (৬৮) মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জ্বর ও শ্বাস কষ্টের সমস্যা নিয়ে তাকে বুধবার বিকেলে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। স্বজনরা জানিয়েছেন, সাইদুর রহমান ব্রেইনে নানা সমস্যায় ভূগছিলেন।

ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ৩জনের মধ্যে সালেহা খাতুন ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সাইদুর রহমানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।