নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় চাচা-ভাতিজাসহ নিহত তিনজনের মরদেহ কাঁধে নিয়ে ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে দোষীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

নড়াইল সদর হাসপাতালের সামনে থেকে কয়েকশ নারী-পুরুষ এ মিছিলে অংশ নেয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আদালত চত্বরে শেষ হয়। পরে সেখানে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, আব্দুল আলিম প্রমূখ । এ সময় তারা জেলা পরিষদ সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লবসহ দোষীদের গ্রেপ্তার এবং ফাঁসির দাবি করেন। সেই সঙ্গে বিল্পবের চাচা পুলিশের ডিআইজি (সিআইডি) শেখ নাজমুল আলমকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে তার বিরুদ্ধে ব্যানার ও পোস্টার প্রদর্শন করে বিভিন্ন প্রকার শ্লোগান দেন ও বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইল জেলা পরিষদের সদস্য গন্ডবগ্রামের সুলতান মাহমুদ বিপ্লব গ্রুপের সাথে একই গ্রামের মিরাজ মোল্যা গ্রুপের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় এ দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব-সংঘাতও হয়েছে। এরই জের ধরে বুধবার বিকালে গন্ডবগ্রামে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে মিরাজ মোল্যার সমর্থক মোকতার মোল্যা (৫০), তার ভাতিজা আমিনুর রহমান হাবিল (৪৫) ও রফিকুল মোল্যা (৪০) নিহত হন। এ সময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০জন আহত হয়।

এ ব্যাপারে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম বলেন, এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ১২জনকে আটক করা হয়েছে। দোষী যেই হোক না কেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে ।

গন্ডব-চালিঘাট গ্রামের কয়েকশত নারী-পুরুষ