বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীয় সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম এমপির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ তথা কাজীপুর উপজেলায়। 

মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর শনিবার সকাল জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারাসহ সব শ্রেণির মানুষ শোক জানিয়েছেন। 

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন-জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, তাড়াশের এমপি ডা. আব্দুল আজিজ, শাহজাদপুরের এমপি হাসিবুর রহমান স্বপন, চৌহালীর এমপি আব্দুল মমিন মণ্ডল, সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম, শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নজরুল ইসলাম, সদর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক দানিউল হক, কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হোসেন সিদ্দীক, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল, সাবেক সভাপতি মইনুদ্দিন খান চীনু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেহাদ-আল-ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন সরকার, সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেলসহ নেতাকর্মীরা।

এদিকে, চলমান করোনার মধ্যেও মোহাম্মদ নাসিম গত ২ মে এবং ১৯ মে পর পর দুইবার সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর এসেছেন। অসহায় ও কর্মহীন মানুষজনের খোঁজ নিয়েছেন। সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরের ২০ সহস্রাধিক কর্মহীন মানুষজনকে খাদ্য সহায়তাও দিয়েছেন। গত ১৯ মে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম.মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে এসে পিসিআর ল্যাবের উদ্বোধন করেন তিনি। 

গত ১ জুন রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড্ হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। শনিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান তিনি। 

নাসিমের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে একে একে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করেন নেতাকর্মীরা। নাসিমের মরদেহ সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা দাবি জানান। 

তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে লাশ সিরাজগঞ্জে আনা হচ্ছে না বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। তিনি আরো বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলসহ সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগসহ প্রতিটি উপজেলা/থানায় এক যোগে  এ কর্মসূচি পালন করা হবে।