প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে এবার বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছে শিকারীরা। শনিবার হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের মোয়াজ্জেম খান বাড়ির টেক এলাকা থেকে শিকার করা ১১ কেজি ওজনের একটি কাতাল মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিকারী মো. ইউনুছ সোহেলকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে ক্রেতার কাছ থেকে মাছটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। এ সময় সহযোগীতা করেন ছিপাতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আহসান লাভু।

অভিযান পরিচালনাকারী হাটহাজারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হালদায় তেমন জাল দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হলে খোঁজ নিই। তখন জানতে পারি, জালের পরিবর্তে বড়শি ব্যবহার করে শিকারীরা মাছ ধরছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিম ছাড়ার পর মা মাছের খাবারের চাহিদা বাড়ে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড়শি দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। শনিবার সকালে অভিযানে নেমে কয়েকজনকে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে দেখি। তাদের ধরতে গেলে তারা বড়শি ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে ১১ কেজি ওজনের একটি মাছ ধরা হয়েছে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় ক্রেতার সন্ধান মেলে। তার কাছ থেকে মাছটি উদ্ধার করা হয়। তারপর মাছ শিকারীকে খুঁজে বের করে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আর কখনো হালদায় মা মাছ শিকার করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।