বগুড়ায় একজন চিকিৎসক, একজন নার্স, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ আরও ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১ হাজার ২৭৪ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জেলার সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার রাতে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গেল ২৪ ঘন্টায় ৩ জন নতুন করে মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ হয়েছে। এ ছাড়া নতুন করে কেও সুস্থ না হওয়ায় সুস্থতার তালিকা ৮৬ জনেই অপরিবর্তিত রয়েছে।

স্বাস্থ্য দপ্তরের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সরকারি ও বেসরকারি পিসিআর ল্যাবে শনিবার ২৩৭টি নমুনার পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা ১৮৮টি নমুনায় ৪০ জনের পজিটিভ এসেছে। আর বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে বগুড়ার ৫০টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ এসেছে ২৭টি।

বগুড়ায় গত ১ এপ্রিল প্রথম এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হন। তারপর থেকে ১২ জুন পর্যন্ত জেলায় মোট ১১ হাজার ১৯৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

নতুন করে আক্রান্ত ৬৭জনের মধ্যে ৫০ জন পুরুষ, ১৩ নারী এবং বাদবাকি ৪ জন শিশু রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৯ জনের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী রয়েছেন ১৬ জন, ৫১ থেকে ৭০ বছর বয়সী রয়েছেন ১৭ জন এবং ৭০ বছরের উর্ধ্বে আরও একজন আক্রান্ত হয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে উপজেলাওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, বরাবরের মতো বগুড়া সদরই শীর্ষে রয়েছে। নতুন সংক্রমিত ৬৭ জনের মধ্যে ৪৪ জনের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলা এলাকায়। অন্যান্য উপজেলার মধ্যে গাবতলীতে ৮ জন, দুপচাচিয়ায় ৩ জন, সারিয়াকান্দিতে ২ জন, কাহালুতে ২ জন, শিবগঞ্জে ২ জন, আদমদিঘী ও ধুনটে একজন করে মোট ২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪জনের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় তাদের ঠিকানা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, নতুন আক্রান্তদের আপাতত নিজ নিজ বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে এদের মধ্যে কারও অবস্থা জটিল মনে হলে তাদের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে।