উদ্বোধনের আট দিন পর চালু হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আইসোলেশন সেন্টার। গত ১৩ জুন নগরের আগ্রাবাদের এক্সেস রোডে সিটি কনভেনশন হলে আইসোলেশন সেন্টারটির উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রোববার ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারটির কার্যক্রম শুরু হলেও কোন রোগী ভর্তি হয়নি।

আইসোলেশন সেন্টারটির উপ পরিচালক ডা. সুমন তালুকদার সমকালকে বলেন, ‘উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন রোগী আসলেও তাদের ভর্তি করা হয়নি। কারণ এটি করোনা পজেটিভ রোগীদের জন্য করা হয়েছে। এছাড়া একজন পজিটিভ রোগী এসেছিলেন। তার আইসিইউ প্রয়োজন হবে তাই তাকে ভর্তি না করে রেফার করে দেওয়া হয়েছে।’

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে আইসোলেশন সেন্টারটি গড়ে তোলা হয়। আইসোলেশন সেন্টারটি পরিচালনার জন্য চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের ৪৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরমধ্যে রয়েছে ১৬ জন চিকিৎসক, ৫ জন নার্স, ১৪ জন ল্যাব টেকনেশিয়ান, প্যারামেডিক, ফার্মাসিস্ট ও ১১ জন স্বাস্থ্যকর্মী। কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ায় ১০ চিকিৎসক ও একজন স্টোর কিপারকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

এদিকে রোববার সকালে নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে রেডজোন এলাকায় দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ও আইইডিসিআর এবং সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত সিটি হল আইসোলেশন সেন্টারটিকে সর্ববৃহৎ করোনা চিকিৎসালয় হিসেবে উল্লেখ করে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, এখান থেকেই করোনা আক্রান্তরা যাতে সহজে সুচিকিৎসা পান সেভাবেই এই সেন্টারটির অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, নার্সসহ প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগ এবং অক্সিজেনের পর্যাপ্ততা, সেন্ট্রাল এসি ব্যবস্থা, ওয়াইফাই সুবিধা সংযোজিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়াও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা, ওষুধপত্র, খাবার ব্যয় সিটি কর্পোরেশন থেকে নির্বাহ করা হবে। আইসোলেশন সেন্টারে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে যে সমস্ত রোগীর নিজেদের ঘরে আইসোলেশনে থাকার সুযোগ নেই তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এই আইসোলেশন সেন্টারটিতে নন-কোভিড রোগীদেরও প্রয়োজনীয় জরুরি চিকিৎসা দিয়ে পরে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। সেন্টারটিকে পর্যায়ক্রমে অত্যাধুনিক ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।