করোনা সংক্রমণের ব্যাপকতা বিবেচনায় মাগুরা শহরের খান পাড়া ও পিটিআই পাড়া এলাকা দু'টি প্রথমবারের মতো রোববার বিকেলে রেড জোন চিহ্নিত করে স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন ঘোষণা করেছে।

মাগুরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান রোববার সন্ধ্যায় তার ফেসবুক আইডিতে এলাকা দু'টি রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোণার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এলাকা দু'টিতে এ পর্যন্ত মোট ৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। সর্বশেষ ১৯ জুন খান পাড়ার এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এর আগে পিটিআই পাড়া এলাকায় এক নার্স (সেবিকা) আরও ২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। যে কারণে এলাকা দুটিকে রোববার রেড জোন ঘোষণা করে প্রশাসন।

জানা গেছে, রেড জোনের আওতায় পড়া এলাকা দু'টিতে অন্তত ২ শতাধিক পরিবার বাস করে। রেড জোন চিহ্নিত করতে রোববার সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মকবুল হাসান মাকুল ও সদর থানা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে এলাকার ৫টি প্রবেশ মুখে এ সংক্রান্ত ব্যানার টাঙিয়ে দেয়। পাশাপাশি বাঁশ দিয়ে বেরিকেট দেওয়া হয়। হঠাৎ করে রেড জোন ও লকডাউনের ফলে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন দু'টি এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

নজরুল ইসলামসহ এলাকার অনেকে জানান, এলাকায় মোট পরিবারের মধ্যে কমপক্ষে একশ'টি পরিবার দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের। লক ডাউন থাকাকালীন সময়ে তাদের জন্যে কি ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে সে বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তারা কিছুই জানতে পারেননি। যা তাদেরকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করছে। এমনকি আগে থেকে এলাকায় সরকারিভাবে এ সংক্রান্ত মাইকিং কিম্বা প্রচারণা না চালিয়েই বিভিন্ন প্রবেশ মুখে বেরিকেট দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মকবুল হাসান মাকুল জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী এলাকা দু'টি ২১ দিনের জন্য লক ডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় সবাইকে বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এলাকার দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের তালিকা করা হচ্ছে। তাদেরকে নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ করা হবে।

মাগুরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান সমকালকে জানান, এলাকার পৌর কাউন্সিলের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী রেড জোন ও লকডাউন এলাকায় নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ করা হবে।