অবশেষে ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে প্রথমবারের মত একদিনে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সিলেট বিভাগের মধ্যে সর্বপ্রথম স্থাপিত এই ল্যাবে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত ৭ এপ্রিল ওসমানীতে ল্যাব স্থাপনের পর এতদিন সর্বোচ্চ ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

মঙ্গলবার সমকালে ‘করোনা শনাক্তের জন্য পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা: বেশি জনবল নিয়েও শাবির চেয়ে পিছিয়ে ওসমানী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই রিপোর্ট প্রকাশের দিনই ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৭৮ জন সিলেট জেলার এবং অপরজন সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।

গত ১৯ মে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য পিসিআর ল্যাব চালু হয়। এই ল্যাবে মূলত সুনামগঞ্জ জেলার নমুনাগুলো পরীক্ষা করা হয়। এই ল্যাবে মঙ্গলবারও সুনামগঞ্জের ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শাবিতে একদিনে ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে।

প্রত্যেক রাউন্ডে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। এই হিসেবে ওসমানীর ল্যাবে প্রতিদিন দুই রাউন্ড নমুনা পরীক্ষা হচ্ছিল। প্রতিদিন অনেক বেশি নমুনা সংগৃহিত হওয়ায় ল্যাবে নমুনার চাপ বাড়তে থাকে। শাবির ল্যাবে প্রয়োজনে তিন বা চার রাউন্ডে নমুনা পরীক্ষা হয়ে আসছে।

সিলেট বিভাগের মধ্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও শাবিতে পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্তের ব্যবস্থা আছে। ওসমানীর ল্যাবে সিলেট জেলা ও শাবির ল্যাবে সুনামগঞ্জ জেলার নমুনা পরীক্ষা হয়। অন্যদিকে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার নমুনাগুলো সাধারণত ঢাকার বিভিন্ন ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।