'করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে বরিশালে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানকার জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে  সমম্বয় না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। ফলে বরিশাল তথা গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সামনে অন্ধকার অপেক্ষা করেছে।' 

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখা বুধবার দুপুরে দলীয় কার্যালয় চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য ৮ দফা দাবি উপস্থান করেছে বাসদ। দাবিগুলো বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার বরিশাল নগরীতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। 

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মণীষা চক্রবর্তি এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নগরীর সদর রোড অবরোধ করা হবে। দাবি মানা না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। বাসদের জেলা আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুম্মন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

ডা. মণীষা চক্রবর্তী বলেন, 'বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার জন্য মাত্র একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে। ফলে ভিড়ের কারণে ২৩ জুন একজন রোগী নমুনা পরীক্ষার জন্য গেলে তাকে সিরিয়াল দেওয়া হয় ১৫ জুলাইয়ের। শেবাচিম হাসপাতালে ১৮টি আইসিইউ বেড থাকলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই একজনও। জেলায় প্রায় ৩০টি বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক-হাসপাতাল থাকলেও করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই একটিতেও।' 

তিনি আরও বলেন, 'বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কিস্তি আদায়ের চাপে ঋণগ্রহীতারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ভূতুরে বিল দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। এসব সমস্যা সমাধানে বাসদ ৮ দফা উপস্থান করেছে।'

তাদের দাবিগুলো হলো- পিসিআর ল্যাব বৃদ্ধি করে প্রতিদিন কমপক্ষে ১ হাজার টেস্ট নিশ্চিত করা, করোনা রোগীদের জন্য ১০০ আইসিইউ বেড চালু, করোনা রোগীদের বিশেষ অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ, লকডাউন হওয়া বাসা-বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া, চিকিৎসক-সাংবাদিক-পুলিশসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের ঝুঁকিভাতা প্রদান, এনজিও'র কিস্তি আদায় বন্ধ ও বাড়ি-মেস ভাড়া মওকুফ, ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারসহ সব বিল মওকুফ এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের ছাঁটাই বন্ধসহ বকেয়া বেতন প্রদান।