দুই দিন না পেরোতেই রাতের আঁধারে ভাংচুর করা হলো সীতাকুণ্ডে স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের নামে লাগানো ভিত্তি প্রস্তরের ফলক। বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে সীতাকুণ্ড মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তরের ফলক ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় সাংসদের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন মোল্লা। সংসদের ধারণা দলের প্রতিপক্ষরা এই ভাংচুর করেছেন। 

জানা যায়, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। সীতাকুণ্ডসহ চট্টগ্রামে নির্মাণ হচ্ছে ১৪টি মসজিদ। গত বছরের মার্চ মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মাওলানা বোরহান উদ্দিন ও ডিডি মাওলানা মনিরুজ্জামান মাটি কেটে কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে অধিগ্রহণের জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে উপজেলা চেয়াম্যান এস এম আল মামুন তা সামাধান করে দিলে কাজ আবার শুরু হয়। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তি প্রস্তরের ফলক লাগিয়ে দোয়া মোনাজাত করেন স্থানীয় সাংসদ দিদারুল আলমসহ তার অনুসারীরা। বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে তা ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতকারীরা। 

মসজিদের নাম ফলক ভাঙচুর করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্য দিদারুল আলম। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি উপজেলায় কোটি টাকা ব্যয়ে মডেল মসজিদ নির্মাণ করে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মঙ্গলবার ফকিরহাট এলাকায় একটি মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করি। কিন্তু একদল দুস্কৃতিকারী রাতের আঁধারে উদ্বোধন ফলক ভাঙচুর করে। কয়েক মাস পূর্বে ঠিকাদার নেমপ্লেট লাগানোর জন্য আনলেও দূষ্কৃতকারীরা তা চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল।'

ভাংচুরে জড়িত দুস্কৃতিকারীদের দ্রুত চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে দুস্কৃতিকারীরা ভাঙচুর চালাচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুস্কৃতিকারীরা পলিয়ে যায়। তবে গভীর রাতে ফের এসে ফলক ভাঙচুর করে। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।’ এ ঘটনায় এমপির পক্ষ থেকে মামলা প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

ইসলামি ফাউন্ডেশনের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মসজিদের দেখা শুনার দায়িত্বে থাকা কাজী সাব্বির আহমেদ বলেন, গত বছর মাস মাসে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। দলীয় বিরোধ থাকাতে নেমপ্লেটটি লাগানো হয়নি। গত মঙ্গলবার এমপি ও তার অনুসারীরা ফলক এনে লাগান। বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে কয়েকজন লোক এসে ফলকটি ভাংচুর করে চলে যায় বলে জানান তিনি।