ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা, লাখো মানুষ পানিবন্দী

সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা, লাখো মানুষ পানিবন্দী

সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শহরের আবাসিক এলাকায় ঢুকছে। শনিবার দুপুর ১২ টায় শহরের ষোলঘর কাজীর পয়েন্ট এলাকা থেকে তোলা সমকাল

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২০ | ০৪:০৫

টানা বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২ টায় সুনামগঞ্জ শহরের পাশের পয়েন্ট দিয়ে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এছাড়া জেলার ছাতকে বিপদ সীমার ১৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে সুরমা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তরা জানিয়েছেন, উজানে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আরও পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

গত তিন দিন সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৩৩ মিলিমিটার। একই সঙ্গে উজানে অর্থাৎ ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক ঘর বাড়িতে আবার পানি ওঠেছে। শহরের নবীনগর, ষোলঘর, উকিলপাড়া, উত্তর আরপিননগরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সুরমা নদীর পানি কূল উপচে প্রবেশ করেছে। জেলার শিল্পশহর ছাতকসহ এই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি বেশি হয়েছে। চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ৫২৩ মিলিমিটার। এ কারণে সুনামগঞ্জের নদ নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান, বন্যার্তদের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। লাগাতার দু’দফা বন্যায় সুনামগঞ্জের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এজন্য ১১ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের যত বেশি সম্ভব বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত. গত ২৮ ও ২৯ জুন ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জের নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলা দোয়ারা, ছাতক, সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর বন্যা কবলিত হয়। ওই সব নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে না নামতেই আবারও এসব উপজেলায় লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।

আরও পড়ুন

×