নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বেড়ে চলেছে পানিবন্দির সংখ্যা। সোমবার পর্যন্ত তিস্তা অববাহিকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪০ হাজার মানুষ। তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে জারি করা হয়েছে রেড এলার্ট।

উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি সকাল ৬টায় বিপদসীমার (৫৩ দশমিক ১২ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা ও ভাঙনের কারণে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। 

জনপ্রনিধিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮ হাজার পরিবারের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (পাউবো)।

বন্যার কারণে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন টেপাখড়িবাড়ি, পূর্বছাতনাই, ঝুনাগাছচাপানী, খালিশা চাপানী, খগাখড়িবাড়ী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের ৮ হাজার পরিবারের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। 

পাউবো ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে রেড এলার্ট জারিসহ লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার জন্য পাইবোর পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা সব সময় সতর্কবস্থায় রয়েছি।