নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন গুদাম থেকে ৩০ মেট্রিক টন সরকারি গম জব্দ করা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী দক্ষিণ বাজার ভাই ভাই ফ্লাওয়ার মিলের গুদাম থেকে এসব গম জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের ছেলে মো. মামুনকে আটক করা হয়েছে।

বেগমগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার কামালের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা-এনএসআই নোয়াখালী কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এবিএম ফারুক জানান, ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল মালেকের ফ্লাওয়ার মিলের গুদামের ভেতর থেকে ও গুদামের সামনে থাকা একটি ট্রাক থেকে সরকারি সিলযুক্ত ৬০০ বস্তা গম জব্দ করা হয়। পরে গুদামটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। গুদামের মালিক হাজী আব্দুল মালেক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। তবে মালেকের ছেলে মো. মামুনকে আটক করা হয়েছে। পরে গুদামটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, জব্দকৃত গম লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা থেকে আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রামীণ অবকাঠামো বিনির্মাণে ও সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কাবিখা ও টিআর-এর জন্য বরাদ্দ এসব গম কাজে না লাগিয়ে জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে কালোবাজারে ক্রয়-বিক্রয় করে অবৈধভাবে মজুদ রাখা হয়েছিল।

বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) সরোয়ার কামাল বলেন, রোববার রাতে ভাই ভাই ফ্লাওয়ার মিলের গুদামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সরকারি সিলযুক্ত ৬০০ বস্তা গম পাওয়া যায়। এসময় ফ্লাওয়ার মিলের মালিকের ছেলে মো. মামুনের কাছে জব্দকৃত গমের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে ও বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রবির কুমার মন্ডল বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।