কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায়  নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে নতুন করে ১০ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৩৯ জনে। এছাড়া জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম শাহাবুদ্দীন। রোববার সকাল ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শাহাবুদ্দীন (৫৫) জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার বড় ছয়সূতী গ্রামের মৃত রইস মিয়ার ছেলে। গত ৮ জুলাই তার করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। একই হাসপাতালে একইদিন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন সদর উজেলার ঝকিরজোরা কড়িয়াইল গ্রামের মো. তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া (৬৫) ও শহরের বত্রিশ এলাকার অনিল চক্রবর্তী (৬৯)।

সোমবার কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রি-আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত জরুরি রোগীসহ সংগৃহীত ৯৪ জনের নমুনা কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন করে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তিনি আরও জানান, নতুন আক্রান্ত ৮ জনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। এছাড়া বাকি ২ জনের মধ্যে ১ জন কটিয়াদী এবং আরেকজন ভৈরব উপজেলার বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন জানান, জেলায় নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৩৪ জন। এনিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৫২ জন ।

বর্তমানে অন্য জেলায় শনাক্তকৃত ১ জন করোনা পজেটিভসহ জেলায় মোট ২৫৭ জন করোনা রোগী এবং ১২ জন সাসপেক্টটেড/নেগেটিভ বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে  আইসোলেশনে রয়েছেন। উপজেলাওয়ারী হিসাবে,এ পর্যন্ত  কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪২৪ জন, হোসেনপুর উপজেলায় ৩৮ জন, করিমগঞ্জ উপজেলায় ১১১ জন, তাড়াইল উপজেলায় ৮০ জন, পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় ৮৫ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ১০৩ জন, কুলিয়ারচর উপজেলায় ১০৫ জন, ভৈরব উপজেলায় ৫৩৩ জন, নিকলী উপজেলায় ৩২ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ১৪৮ জন, ইটনা উপজেলায় ৩০ জন, মিঠামইন উপজেলায় ৩৮ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৩ জন  মৃত ব্যক্তি রয়েছেন।