চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের অভিযানের মধ্যে সন্দেহভাজন মাদক বিক্রেতা তরুণের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে তার বাসায়। ওই তরুণ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার লোকজন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার বাদামতলীর বড় মসজিদ গলিতে এই ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ বড় মসজিদ গলির একটি বাসা থেকে মো. মারুফ (১৯) নামে ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করেছে।

এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মারুফের বাসার পাশে এক যুবককে চোর সন্দেহে লোকজন মারধর করে। এসময় সে নিজেকে ডবলমুরিং থানার সোর্স দাবি করে। 

এ ঘটনার পর ডবলমুরিং থানার এএসআই হেলালের নেতৃত্বে একটি টিম সন্দেহভাজন ইয়াবা বিক্রেতা হিসেবে মারুফকে আটক করতে যায়। মারুফের মা-বোনসহ প্রতিবেশিরা সড়ক অবরোধ করে পুলিশকে বাধা দেয়। ততক্ষণে মারুফ গা ঢাকা দেয়। তখন তার মা ও বোনকে পুলিশ গাড়িতে তুলে নেয়। তখন তারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

নগর পুলিশের উপ- কমিশনার (পশ্চিম) ফারুকুল হক বলেন, 'সন্দেহভাজন মাদক বিক্রেতার মা ও বোন অজ্ঞান হওয়ার অভিনয় করেন। তারপরও তাদের পুলিশ সদস্যরা আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যে ওই মাদক বিক্রেতা বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।'

তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধারে গেলে এলাকার লোকজনের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। এসময় কয়েক'শ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। উত্তেজিত জনতা ভাংচুরও করে। পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। অবশ্য পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

মারুফের বোনের দাবি, তার ভাইকে এএসআই হেলাল মারধর করেছে। এছাড়া তাদের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেছে।

পুরো ঘটনা এবং এলাকাবাসীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা ফারুকুল হক।