বায়িং হাউসের কর্মকর্তা সুলতান হোসেন (৪৬) গত মঙ্গলবার ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন। পরিবারের সদস্যরা খোঁজ না পেয়ে তেজগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন। তবে তাকে জীবিত ফেরত পাওয়া যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জে চোখে-মুখে আঘাতের চিহ্নযুক্ত লাশ পাওয়া গেছে তার। কেন, কারা তাকে অপহরণ ও হত্যা করল, পুলিশ ও পরিবারের লোকজনের কাছে তা এখনও অজানা।

পুলিশ ও সুলতানের স্বজনরা জানিয়েছেন, সুলতান হোসেনের বাসা তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখালপাড়ায়। বায়িং হাউসে চাকরি করেন। উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের এক নম্বর রোডে ৩০ নম্বর ভবনে তার অফিস। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাসা থেকে বের হন অফিসের উদ্দেশে। অফিস শেষে বাসায় না ফেরায় রাত ৯টায় তার ব্যবহূত মোবাইলে ফোন করেন স্বজনরা। ফোনের সুইচ বন্ধ। এর পরই স্বজনরা সুলতানের অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, তিনি অফিসে যাননি। তার সন্ধানে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। সন্ধান না পেয়ে পরদিন তেজগাঁও থানায় জিডি করেন সুলতানের ভাই আবুল হোসেন। গতকাল সকালে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানাধীন ঘুনাপাড়ায় সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সিঙ্গাইর থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম সমকালকে জানান, সকাল সাড়ে ৬টায় সড়কের পাশে জঙ্গলে লাশ পড়ে থাকতে দেখে লোকজন। খবর পেয়ে সকাল ৭টার দিকে লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়।

সুলতানের ভাতিজা তানভীর মাহমুদ জানান, তেজগাঁও থানা থেকে খবর পেয়ে সকাল ১১টায় মানিকগঞ্জ মর্গে গিয়ে তিনি লাশ শনাক্ত করেন। কেন, কারা তার চাচাকে ঢাকা থেকে অপহরণের পর হত্যা করেছে তা ধারণাও করতে পারছেন না তিনি। সুলতান এক সন্তানের জনক। মেয়ে পুষ্পিতার বয়স সাড়ে চার বছর। সুলতানের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর ভবদিয়া এলাকায়।