করোনায় বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল খানের মৃত্যু

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা কলেজের সাবেক জিএস আবদুল আউয়াল খান (৫৬) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার ছোট ভাই আবদুল নবিন খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নবিন খান জানান, আবদুল আউয়াল খানকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার করোনা টেস্ট পজিটিভ আসে। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে মুগদাতে আইসিইউ বেড না পেয়ে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেওয়া নয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি বলেন, ‘মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির আগে গত ৪-৫ দিন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন আবদুল আউয়াল খান।’

বিকালে ঢাকা থেকে মুঠোফোনে যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন জানান, করোনার কারণে ঢাকায় নামাজে জানাজা হচ্ছে না, তবে বাদ এশা দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে মরহুমের গ্রামের বাড়ি কাসারীখোলা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এদিকে আবদুল আউয়াল খানের মৃত্যুতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার কাসারীখোলা গ্রামে জন্ম নেওয়া ঢাকা কলেজের সাবেক জিএস আবদুল আউয়াল খান স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও ৬ ভাই ও ২ বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।