চট্টগ্রামে নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদে তরুণ মারুফের আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই হেলাল খানকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। ভিকটিম তরুণ মারুফের আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত পুলিশের তিন সদস্যের তদন্ত প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেছেন।

এসআই হেলাল খানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে কমিটি। এ ছাড়া নিজের অধীনস্ত অফিসারকে নিয়ন্ত্রণ ও সঠিকভাবে তদারকি করতে ব্যর্থ হওয়ায় ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ দাশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে।

সোমবার বিকেল ৫টার পর সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমানকে ১৭ পৃষ্টার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। কমিটির প্রধান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদের সাথে উপস্থিত ছিলেন কমিটির অপর দুই সদস্য ডবলমুরিং জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) শ্রীমা চাকমা ও নগর পুলিশের সিএসবি শাখার সহকারি কমিশনার (এসি) নুরুল আফসার ভূইয়া।

সিএমপির ডিসি (ডিবি-পশ্চিম) মনজুর মোরশেদ সমকালকে বলেন, ‘তদন্ত করতে গিয়ে এসআই হেলাল খানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বেশ কিছু বিষয়ের সত্যতা পাওয়া গেছে। পেশাদার পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তার আচার আচরণে সমস্যা ছিল। তাই তাকে সাময়িক বরখাস্তসহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। অন্যদিকে ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ দাশ তার অধস্তন কর্মকর্তাদের উপর সঠিক তদারকি না থাকার প্রমাণ পাওয়ার বিষয়টিও তদন্তে উঠে এসেছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’

সিএমপির একটি সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তসহ মোট ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ঘটনার দিন এসআই হেলাল খান থানার ওসিকে অবগত না করে সেখানে বেআইনিভাবে অভিযানে যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযান পরিচালনার সময়ে এসআই হেলাল পুলিশি পোশাক পরা অবস্থায় ছিলেন না। ভিকটিম তরুণের মাকে গাড়িতে তোলারও সত্যতা পাওয়া যায়। সে কারণে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছে। অভিযানের সময় অন্য দুইজন রাজীব ও সবুজের নাম উঠলেও তদন্ত কমিটি তাদের বিরুদ্ধে কোনও সাক্ষ্য প্রমাণ পায়নি। ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা যাতে না ঘটে পুলিশের যত আইন কানুন মেনে দায়িত্ব পালন করার কথা তা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে।