- সারাদেশ
- মুন্সীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
মুন্সীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

ছবি: সমকাল
মুন্সীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। শ্রীনগরের ভাগ্যকুল পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপদসীমার ৬ দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার এবং মাওয়া পয়েন্টে সোমবার সন্ধ্যায় বিপদসীমার ৬ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পদ্মায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সোমবার পর্যন্ত জেলার প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৪টি উপজেলার ২০ হাজার পরিবার।
এদিকে বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়া পদ্মার চরের গ্রামগুলোর বসতবাড়িতে কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও বুক সমান পানি। এসব বসতবাড়িতে থাকা মানুষজনের সঙ্গে বিপদে পড়েছে তাদের গবাধি পশু ও হাঁস-মুরগিও। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘরের মাচা উচুঁ করলেও পানিবন্দি হয়ে চরম বিপাকে দিন কাটাতে হচ্ছে বানভাসী পরিবারদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লৌহজংয়ের পদ্মার তীরের ১৬টি গ্রাম, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার ১৮টি গ্রাম, সদর উপজেলার পদ্মা তীরের ৭টি গ্রাম ও শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল ও বাঘরা ইউনিয়নের ৯টি গ্রামও বন্যার পানিতে ভাসছে। বন্যা কবলিত গ্রামগুলোতে বর্তমানে বিশুদ্ধ পানি ও গবাদিপশুর খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। পদ্মার পানি ভাগ্যকুল ও মাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় গত ৩ দিন ধরে জেলার ৬টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। সোমবার পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, এ পরিস্থিতিতে বানভাসি পরিবারদের সহায়তায় ৬৫ মেট্রিক টন চাল, ৭শ’ জনের শুকনো খাবার, শিশু এবং গো-খাদ্যের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা কবলিত পরিবারের জন্য জেলায় ১৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন