পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে প্রচণ্ড স্রোতে ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির কারণে ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পাটুরিয়া-ঢাকা মহাসড়কের নবগ্রাম পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের ঘাট এলাকায় এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

এছাড়া, ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজটের কারণে ঘাট এলাকায় আসতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ সময় বেশি লাগছে যাত্রীদের। 

আরিচা অফিসের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা গেছে, এ নৌরুটে চলাচলরত বেশিরভাগ ফেরি দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ায় স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘাটে ভিড়তে ফেরিগুলোর স্বাভাবিক সয়ের চেয়ে বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। 

ঢাকার  গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী লালন বাসের চালক মুরাদ হোসেন জানান, সকাল ৮টায় গাবতলী থেকে বাস ছেড়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে এসে যানজটে পড়েন। কিন্ত বিকেল ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থেকেও ফেরি পারাপার হতে পারেননি তিনি। 

গাজীপুর থেকে ছেড়ে আসা যশোরগামী ট্রাকচালক বাবুল হোসেন জানান, সোমবার বিকেলে পাটুরিয়া ঘাটে এসে যানজটে পড়েন। বুধবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাটেই ফেরির টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।  

আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি ও নদীতে  স্রোতের কারণে  সময় বেশি লাগায় ঘাট এরাকায়  যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ নৌরুটে ১৪টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে ১৬ ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে। তবে স্বাভাবিক সময়ে এ রুট দিয়ে প্রতিদিন ২ হাজার ২শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ যানবাহন পারাপার হয় । কিন্ত ঈদের সময় যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির কারণে সাড়ে ৫ হাজার থেকে প্রায় ৬ হাজার যানবাহন পারাপার করতে হয়।