চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা ডা. আলী আশরাফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দেয়া এবং সংসদ সদস্যের দ্বারা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার এবং বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানকে দলীয় পদ থেকে অপসারণের দাবি করেছেন প্রয়াত মুক্তিযুদ্ধা আলী আশরাফের ছেলে জয়নাল আবেদীন। বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জয়নাল আবেদীন বলেন, 'দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদ শুরু হয় চট্টগ্রাম থেকে। ১৯৭৭ সালের  আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদ করতে গিয়ে জিয়া সরকার নিশংসভাবে হত্যা করে মৌলভী সৈয়দকে। প্রয়াত ডা. আলী আশরাফও একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মৌলভী সৈয়দের বড় ভাই ও বাঁশখালী আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক। যুদ্ধকালীন সময়ে অবদান রাখায় দেশ স্বাধীনের পর প্রত্যেক গেজেটে উনার নাম উল্লেখ আছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি গত ২৬ জুলাই এই মুক্তিযোদ্ধা বার্ধক্যজনিত কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিয়ম অনুযায়ী একজন মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা ওনার বেলায় মানা হয়নি।'

জয়নাল আবেদীন বলেন, 'মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর স্থানীয় সাংসদ বাঁশখালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করে তীর্যক মন্তব্য প্রদান করেছেন। একজন সাংসদের এমন বক্তব্য আমাদেরকে হতবাক করেছে। এ কারণে মানুষ রাস্তায় নেমে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছে। গার্ড অফ অনার না দেওয়ার পেছনে সুস্পষ্ট গাফিলতি ছিল। আমরা সেদিনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। একই সাথে একজন সংসদ সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি এবং মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করায় তার শাস্তি দাবি করছি। সেইসাথে প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকেও প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।'

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক বাঁশখালী থানা কমান্ডার রশিদ সেন, মুক্তিযোদ্ধা গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতা সরওয়ার আলম মনি, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিমু হামিদ প্রমুখ।