ঢাকা বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করে শাস্তি পেলেন ডিলার

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করে শাস্তি পেলেন ডিলার

সান্তাহার বিএডিসি বাফার গুদাম। ছবি: সংগৃহীত

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪:২৫ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪:২৫

আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার বিএডিসির বাফার স্টক সার গুদাম রক্ষকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করায় উল্টো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সার ও বীজ ডিলার সজীব সাহার বিরুদ্ধে। তাঁকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বগুড়ার গুদাম থেকে সার সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন যুগ্ম পরিচালক (সার) বগুড়া অঞ্চল মো. কাজেম আলী। 

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সান্তাহার বিএডিসি সার গুদামের সহকারী পরিচালক রবিউল হাসান সার সরবরাহ করার সময় বহিরাগত দুই লোক দিয়ে টিএসপি (তিউনিশিয়া) সারের জন্য বস্তাপ্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা হারে ঘুষ নেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি টুকটুক তালুকদারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সজীব সাহা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারীকে দায়িত্ব দেন। তদন্ত চলমান অবস্থায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর সান্তাহার বিএডিসির সহকারী পরিচালক রবিউল হাসানকে লেখা এক চিঠিতে সজীব সাহাকে সান্তাহারের পরিবর্তে ৪০ কিলোমিটার দূরে বগুড়া অঞ্চল দপ্তর থেকে সার সরবরাহের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে কী কারণে সজীব সান্তাহার গুদাম থেকে সার বিক্রি ও সরবরাহ করতে পারবেন না, তা সুনির্দিষ্টভাবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।

বিষয়টি জানতে পেরে ডিলার সজীব সাহা সোমবার বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সান্তাহার বিএডিসি গুদামের সহকারী পরিচালক রবিউল ইসলাম ও বগুড়া কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. কাজেম আলী তাদের অপরাধ ঢাকতে সজীব সাহাকে বগুড়া থেকে সার বিক্রি ও সরবরাহ করতে বলেছেন। এতে তাঁর পরিবহন ব্যয় হবে বহুগুণ। 

এ ব্যাপারে বগুড়া অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক (সার) মো. কাজেম আলী বলেন, ডিলার সজীব সাহা সান্তাহার গুদামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। তাই তাঁকে বগুড়া থেকে সার সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোনো ডিলারকে গুদাম পরিবর্তনে কোনো অভিযোগ বা সুনির্দিষ্ট কারণ লাগে না। সংরক্ষিত এলাকায় বহিরাগত লোক দিয়ে কেন সার সরবরাহের কাজ করা হচ্ছে– এমন প্রশ্নের জবাবে মো. কাজেম আলী বলেন, জনবল সংকটের কারণে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


আরও পড়ুন