ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় সিএনজি যোগে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার পথে শামীম ভুঁইয়া (৩৮) নামে এক যুবকের পা কেটে ব্যাগে ভরে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কানুরামপুর পশ্চিম বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার শামীমের ভাই রুবেল ভূঁইয়া বাদি হয়ে ২৬ জনকে আসামি করে নান্দাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

রুবেল ভূইয়া জানান, ঈদ উপলক্ষে তিনি তার বিদেশফেরত ভাই শামীম ভূঁইয়াকে নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে তাদের বহন করা সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি কানুরামপুর পশ্চিম বাস স্টপেজে থামে। এসময় ওৎ পেতে থাকা ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত তাদের বহন করা সিএনজিটি ঘেরাও করে দুই ভাইকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তার ভাই শামীমকে সিএনজি থেকে টেনে হিঁছড়ে নামিয়ে সড়কের ওপর ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এসময় তিনি ভাইকে রক্ষার করতে এগিয়ে গেলে দুর্বত্তরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করার হুমমি দিলে তিনি দৌড়ে নিজের প্রাণ রক্ষা করেন। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর (৩৮) নামে এক সন্ত্রাসী তার ভাইকে রাস্তায় শুইয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কর্তিত অংশটি একটি ব্যাগে করে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে শামীমকে গুরুতর আহত অবস্থায় সোমবার রাতেইময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন মোর্শেদ আলী। গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে কানুরামপুর বাসস্ট্যান্ডের পাশে বাড়িতে যাবার পথে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন মোর্শেদ আলী। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোর্শেদ সমর্থকরা সন্দেহজনক খুনিদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। 

রুবেল ভূঁইয়া জানান, তিনি ও তার ভাই মোর্শেদ হত্যা মামলার আসামি। বর্তমানে তারা আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। সোমবার রাতে হত্যার উদ্দেশ্যেই তাদের দুই ভাইয়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ জানান, মামলার পর এই ঘটনায় জান্নাত উল্লাহ (২৮) নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।