এবারের আগাম বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে দোহারের অধিকাংশ অঞ্চল। বিশেষ করে পদ্মা তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা ধারণ করেছিল ভয়ানক রূপ।এসব এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে যায় অধিকাংশ এলজিইডি’র তেরি করা রাস্তা। এখন পানি নেমে গেলেও ক্ষতবিক্ষত রাস্তাগুলো এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে বন্যার স্মৃতি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর,চরকুশাই ও চর-লটাখোলা এলাকার এলজিইডি’র রাস্তা ভেঙ্গে খানাখন্দ হয়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমানের নির্দেশে জয়পাড়া থেকে কার্তিকপুর মৈনট ঘাট যাওয়ার এক মাত্র বাইপাস রাস্তা ছিলো এটি। স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে জানা যায় ,এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে থাকে। এ ছাড়াও ট্রাক, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। এসব এলাকার মানুষকে যাতায়াত, কাচাবাজার ও হাটবাজার করতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মুকসুদপুর ইউনিয়নের মৌড়া-ধিৎপুর, সাইনপুকুর এলাকার রাস্তার ও একই দশা। নারিশা ইউনিয়নের নারিশা বাজার, নারিশা ইউনিয়ন পরিষদ র্সংলগ্ন সড়ক, নারিশা চৈতাবাতর সড়ক, মেঘুলা হাট-বাজারের রাস্তা। সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচর, কাজিরচর, দোহার পুরী এলাকার রাস্তা।বিলাশপুর ইউনিয়নের রাধানগর, বিলাশপুর, হাজারবিঘা। কার্তিকপুর এলাকার মৈনটঘাট, হরিচন্ডি, প্রাণকুন্ড এলাকার সবমিলিয়ে প্রায় দশ কিলোমিটার এলজিইডি’র পাকা রাস্তা ভেঙ্গে গেছে।

চরলটাখোলা এলাকার মজম মাদবর বলেন, ‌‘আমরা এলাকাবাসী খুব কষ্টের মধ্যে আছি, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে, বন্যার পানিতে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা যাতায়াত করতে পারছি না। এ দূর্ভোগ নিয়ে এলাকাবাসীর জন্য কিছুই করছেন না চেয়ারম্যান।’

অটোরিকশা চালক রফিক বলেন, যান চলাচলের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছেন যেন রাস্তা গুলো দ্রুত মেরামত করা হয়।

মাহমুদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘রাস্তা মেরামতের জন্য আবেদন করতেছি, কোথাও কোন বরাদ্দ না থাকায় মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছ। তাই এখন সময়ের ব্যাপার, এই মহূর্তে করার মত কিছু নাই।’

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা প্রকৌশলী হানিফ মোহাম্মদ মুর্শিদী বলেন, আমরা ইতিমধ্যে প্রায় দশ কিলোমিটার ভাঙ্গা পাকা রাস্তা চিহ্নিত করেছি।এগুলো মেরামত করতে দ্রুত তালিকা তৈরি করে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এর মধ্যে নতুন কিছু রাস্তার উন্নয়ন চলাকালীন সময়ে বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়ে পুরো রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।