গাজীপুরের শিমলাপাড়া এলাকায় যুবলীগ নেতা মাসুম মিয়ার দখল করে নেওয়া সেই বনভূমি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। বসতঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাঁশের বেড়া ভেঙে রোপণ করা হয়েছে নানা জাতের গাছের চারা। উদ্ধার করা জায়গার পুরোটাই আনা হয়েছে সামাজিক বনায়নের আওতায়। বুধবার সমকালের শেষ পৃষ্ঠায় 'গভীর বনে পুকুর, হাঁসের খামার, বসতবাড়ি : যুবলীগ নেতার দখলে বনভূমি' শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদে দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় বন বিভাগের। বুধবার দুপুরে শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুল হক ও শিমলাপাড়া বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে অন্তত ৫০ জন কর্মচারী ওই জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চালান। পুরোনো টিন দিয়ে তৈরি করা নতুন বসতঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অস্থায়ীভাবে বাঁশ দিয়ে তৈরি করা বেড়া ভেঙে ফেলা হয়। পরে সেখানে হাজার খানেক গাছের চারা রোপণ করা হয়।
শ্রীপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুল হক বলেন, 'এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে। উদ্ধার করা বনভূমিকে সামাজিক বনায়নের আওতায় আনা হয়েছে। জোত জমির মধ্যে পুকুর ও হাঁসের খামার গড়ে তোলা হয়েছে বলে সেখানে বন বিভাগ হস্তক্ষেপ করেনি। তবে এর চারপাশে দখল করে নেওয়া বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান চালানোর সময় যুবলীগ নেতা মাসুম ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।'

শিমলাপাড়া বিটের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, 'গজারি বনের ভেতর জোত জমির আশপাশে বেশ কয়েক বিঘা বনভূমি জবরদখল করে নিয়েছিল স্থানীয় আবদুল হালিম ও তার ছেলে মাসুম।'
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মাওনা ইউনিয়ন যুবলীগের উপপ্রচার সম্পাদক মাসুম মিয়া ও তার বাবা আবদুল হালিম প্রকাশ্যে বনের এ জায়গা দখল করে নেন। সেখানে মাছের খামার, হাঁস পালন ও ধানের আবাদ করেছেন। তৈরি করেন বসতবাড়িও। কৌশল করে পুরোনো টিনের ছাউনি দিয়েছেন ঘরে। যাতে মানুষ বুঝতে পারে এটা বেশ পুরোনো বাড়ি। অবশ্য অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা মাসুম মিয়া দাবি করেছেন, সেখানে তাদের কিছু জোত জমিও আছে।