- সারাদেশ
- দোহারে নারী ধর্ষণ, টাকা দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা
দোহারে নারী ধর্ষণ, টাকা দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা

ঢাকার দোহারে এক নারীকে (৩২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন সন্তানের জনক শহীদ মাঝি (৪৭) নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে এলাকার প্রভাবশালীরা সালিশ করে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে। তবে ওই নারী টাকা না নিয়ে বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবি করেন।
দোহার থানায় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভনে একই গ্রামের শহীদ মাঝি দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিল। এতে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার গর্ভপাত ঘটানো হয়। গত সোমবার সকাল ১১টায় পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মজিবুর রহমানের বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনার মীমাংসা করতে সালিশ ডাকা হয়। সালিশে ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে প্রভাবশালী মজিবুর দেওয়ান, ইয়ানুস, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী মণ্ডল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাসার চোকদার, বিলাশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হুকুম আলী চোকদার, সাবেক ছাত্রনেতা সুরুজ আলম সুরুজ, সাখাওয়াত হোসেন সেন্টু, শওকত হোসেন খান, জহির বেপারি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার উপস্থিত থেকে ধর্ষককে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করেন; কিন্তু ওই নারী টাকা না নিয়ে বিয়ের মাধ্যমে স্ত্রীর স্বীকৃতি চান। পরে ওই টাকায় প্রভাবশালীরা মাহমুদপুর ইউনিয়নের চরনারায়ণপুর গ্রামে ফরহাদ মৃধার বাড়িতে ভূরিভোজ করেন।
এ বিষয়ে পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মুজিবর রহমানের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান খোকন শিকদার বলেন, আমরা ওই নারীর পক্ষেই ছিলাম। তিনি যেন সুষ্ঠু বিচার পান, এ কারণেই জরিমানা করা হয়েছে।
দোহার থানা ওসি (তদন্ত) আরাফাত হোসেন বলেন, ধর্ষণের বিচার কোনো প্রভাবশালী করতে পারেন না। ধর্ষকসহ সালিশকারীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
মন্তব্য করুন