যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ৩ কিশোর খুন ও ১৫ জন আহতের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আরও চার কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার সমাজসেবা অধিদপ্তরের অফিস আদেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়। 

বরখাস্তরা হলেন- কেন্দ্রের সহকারী তত্ত্ববধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলম, সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মো. মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুক। 

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে চার কর্মকর্তার বরখাস্তাদেশের চিঠি আপলোড করা হয়েছে। এর আগে ১৪ আগস্ট কেন্দ্রের তত্ত্ববধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত ১৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোর বন্দিদের বেধড়ক মারপিট করা হলে তিন কিশোর নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ১৪ আগস্ট রাতে নিহত কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বির বাবা রোকা মিয়া যশোর কোতয়ালী থানায় হত্যামামলা করেন। মামলায় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে আসামি করা হয়। পুলিশ এ মামলায় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। শুনানি শেষে যশোরের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান কেন্দ্র তত্ত্ববধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্ববধায়ক (প্রবেশন অফিসার) মাসুম বিল্লাহ ও ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর একেএম শাহানুর আলমকে পাঁচদিনের এবং সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মো. মুশফিকুর রহমান ও কারিগরি প্রশিক্ষক (ওয়েল্ডিং) ওমর ফারুককে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার মুশফিকুর রহমান এবং ওমর ফারুকের রিমান্ড শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার দুইজনকে আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান।

তদন্ত কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান বলেন, আদালতে রোববার সাতজন ও সোমবার একজনের শোন অ্যারেস্টের আবেদন করেছিলাম। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এরপর ওই আটজনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে তিন কিশোর খুনের মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।