- সারাদেশ
- রাজশাহীতে ঠিকাদারের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন
প্রকৌশলীর ওপর হামলা
রাজশাহীতে ঠিকাদারের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী গণপূর্ত কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেলওয়ার হোসেনের অফিসে ঢুকে পিটিয়ে জখম করার প্রতিবাদে ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে। মঙ্গলবার রাজশাহী গণপূর্ত কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে তার সহকর্মী ও প্রকৌশলীদের বিভিন্ন সংগঠন এ দাবি জানায়।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পিডব্লিউডি ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির জেলা শাখার সভাপতি মো. ছাইদুজ্জামান। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. আয়াতুল্লাহ। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণপূর্ত অধিদপ্তর শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের জেলা শাখার সভাপতি বাবর আলী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর স্বপন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা প্রকৌশলী দেলওয়ার হোসেনের ওপর হামলাকারী ঠিকাদার শাহাবুল মঞ্জু লিটনের 'সাফির ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড বিল্ডার্সের' লাইসেন্স বাতিলসহ প্রতিষ্ঠানটির চলমান সব কাজের কার্যাদেশ বাতিল করার দাবি জানান।
পুঠিয়া উপজেলার এসিল্যান্ড রুমানা আফরোজ জানান, কাজে অনিয়মের অভিযোগ জানতে পেরে তিনি প্রকৌশলী দেলোয়ারকে তদন্ত করে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর এভাবে প্রকৌশলীর ওপর হামলা হবে তা তিনি ভাবতে পারেননি।
গণপূর্তের রাজশাহী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিছবাহ উদ্দীন বলেন, এ ঠিকাদার ও তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের রাজপাড়া জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাকিবুল ইসলাম জানান, আসামিদের সোমবারই গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, হামলাকারী শাহাবুল মঞ্জু লিটন ও আতিকুর রহমান আতিক নগরীর সাহেববাজার এলাকার আবুল হোসেন নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পাওয়া পুঠিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে নির্মাণের দেড় কোটি টাকার টেন্ডারের কাজ করছিলেন। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজে অনিয়ম করায় প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন আপত্তি করেন। এরপর লিটন ও আতিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়ে হামলা চালান। পরে পুলিশ তাদের দু'জনকেই গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২-এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইফতেখায়ের আলম একটি মামলা করেন।
মন্তব্য করুন