সুনামগঞ্জের জনপ্রিয় তিন চিকিৎসক তারা। করোনাকালে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। 

তারা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিশ্বজিৎ গোলদার, সুনামগঞ্জ মাতৃমঙ্গলের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক) ডা. জসিম উদ্দিন, জেলার ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. রাজিব চক্রবর্তী। সস্ত্রীক করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন তারা।

ডা. বিশ্বজিৎ গোলদার পহেলা আগস্ট থেকে জ্বরে ভুগছিলেন। ৯ আগস্ট জানতে পারেন, তিনি করোনা পজিটিভ। এর পর স্ত্রী, পুত্র-কন্যার নমুনা পরীক্ষা করা হলে তারাও করোনা পজিটিভ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতাল ক্যাম্পাসের কোয়ার্টারেই আইসোলেশনে আছেন স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে। বিশ্বজিৎ গোলদার বলেন, 'বাসায় থেকেই চিকিৎসা গ্রহণ করছি। অসুস্থ-রোগী কেউ ফোন দিলে বাসা থেকেই ফোনে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি, দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও মানুষের সেবায় নিজেকে কাজে লাগাতে পারব।'

ডা. জসিম উদ্দিন সুনামগঞ্জ মাতৃমঙ্গলের মেডিকেল অফিসার (ক্লিনিক)। তিনিও করোনাকালে প্রসূতি সেবা দিয়েছেন মায়েদের। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অপিজেন সাপোর্টে আছেন। তার স্ত্রী নিগার সুলতানা খান করোনা পজিটিভ হলেও শরীরে কোনো উপসর্গ নেই।

ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. রাজিব চক্রবর্তীও ১৪ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হন। নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১৭ আগস্ট তার স্ত্রী ও ৭ বছরের ছেলে করোনা পজিটিভ বলে জানানো হয়।

সিভিল সার্জন ডা. শামছুদ্দিন আহমদ জানালেন, ডা. বিশ্বজিৎ গোলদার, ডা. জসিম উদ্দিন ও ডা. রাজিব চক্রবর্তী করোনাকালে ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তারা এখন সপরিবারে আক্রান্ত। আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের সবাই সাধ্যমতো তাদের সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় দ্রুতই তারা সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছি।