বায়েজিদ নামে ইতালি প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মাদারীপুর সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের এক শিক্ষার্থীর (১৬)। ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রোববার সকালে বাড়ি থেকে ডেকে হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণ শেষে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোয় ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে মাদারীপুর শহরে ভূঁইয়া ইন: আবাসিক হোটেলে। এই ঘটনায় রাতে অভিযুক্ত বায়েজিদসহ ধর্ষণে সহযোগী ৪ জনকে আটক করেছে মাদারীপুর থানা পুলিশ। এব্যাপারে রোববার রাতে ওই শিক্ষার্থীর দাদি বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার জানায়, মাদারীপুরের শিবচরের ইতালি প্রবাসী বায়েজিদ মাতুব্বরের সঙ্গে ৬ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় মাদারীপুর সদরের মা-বাবাহারা ওই শিক্ষার্থীর। এরপর দু’জনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রোববার সকালে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে মাদারীপুর শহরের ভূঁইয়া ইন: আবাসিক হোটেলে ওঠেন বায়েজিদ। সেখানে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোয় ওই শিক্ষার্থী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে ওই কিশোরীর অবস্থার অবনতি হলে পালানোর চেষ্টা করেন বায়েজিদ। পরে বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীকে উদ্ধারের পর মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। 

ওই কিশোরীরর ভাই জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বায়েজিদ এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার এমন বিচার চান, যা দেখে অন্য কেউ ভবিষ্যতে এমন কাজ করতে সাহস না পায়। পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করেছে। তারা হলেন- শিবচর উপজেলার নিখলী গ্রামের আক্কাস মাতুব্বরের ছেলে বায়েজিদ মাতুব্বর (২০), রাজৈর উপজেলার পশ্চিম সরমঙ্গল গ্রামের মোতালেব শেখের ছেলে পিয়াস জামান (২৩), সদরের রাজারচর এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে শান্ত রহমান (২২), একই উপজেলার ব্রাহ্মদী গ্রামের মৃত বিশাই মোলার ছেলে রহমান মোলা (৫০)।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: নূরুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি রোববার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা হবে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন বলেন, ‘আমরা অভিযুক্ত বায়েজিদসহ ৪ জনকে আটক করেছি এবং ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে তার দাদি বাদি হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন। আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’