- সারাদেশ
- তদন্ত কর্মকর্তা সাসপেন্ড, তিন আসামির জামিন নামঞ্জুর
'মৃত' কিশোরীর ফেরা
তদন্ত কর্মকর্তা সাসপেন্ড, তিন আসামির জামিন নামঞ্জুর

নারায়ণগঞ্জে 'ধর্ষণ ও হত্যা'র শিকার কিশোরীর ফিরে আসার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামির জামিন হয়নি। সোমবার জামিন শুনানির নির্ধারিত দিনে তিন আসামির মধ্যে দু'জনের জামিন আবেদন করা হয়। একই আদালতে ওই কিশোরীর স্বামী ইকবাল পন্ডিতের রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলম তিন আসামির জামিন আবেদন এবং ইকবালের রিমান্ড নামঞ্জুর করেন।
এদিকে তিন আসামির পক্ষে আদালতে দেওয়া তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এদিন প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট আসামি পক্ষের আবেদন গ্রহণ করে তা নথিভুক্ত করেন। এ ছাড়া ধর্ষণ ও হত্যার পর কিশোরীর জীবিত ফিরে আসার ঘটনায় ওই মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (প্রত্যাহার) শামীম আল মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় প্রক্রিয়াধীন।
সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ২৬ আগস্ট তাকে সদর মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, এসআই শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে আসামির পরিবারের লোকজন অবৈধ উপায়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের পর তার অপেশাদারিত্বের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সোমবার আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকন উদ্দিন বলেন, জীবিত ফিরে আসা ওই কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় প্রথম ও দ্বিতীয় আসামি আব্দুল্লাহ ও রকিবের জামিন আবেদন করা হয়। পাশাপাশি ওই কিশোরীর স্বামী ইকবাল পন্ডিতের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত উভয় আবেদন নামঞ্জুর করেন। তিনি বলেন, আমরা তিন আসামির ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেছি। আসামিরা রিমান্ডের ভয়ে ভীত হয়ে ১৬৪ ধারায় ধর্ষণ ও হত্যার জবানবন্দি দিয়েছিল।
গত ৪ জুলাই স্কুলছাত্রী ওই কিশারী বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। ১৭ জুলাই ওই কিশোরী বাবা সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং ৬ আগস্ট একই থানায় অপহরণ মামলা করেন। গত ৯ আগস্ট পুলিশ জানায়, নিখোঁজ কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয় আসামিরা। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর ২৩ আগস্ট দুপুরে বন্দরের নবীগঞ্জ রেললাইন এলাকায় থেকে সুস্থ ও জীবিত অবস্থায় ওই কিশোরীকে তার পরিবারের সহায়তায় উদ্ধার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন