ঢাকা বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

‘সুন্দরবন’ ট্রেন চলবে পদ্মা সেতুতে

খুশি হলেও ভাড়া নিয়ে অস্বস্তি, সরাসরি ট্রেন চায় খুলনাবাসী

খুশি হলেও ভাড়া নিয়ে অস্বস্তি, সরাসরি ট্রেন চায় খুলনাবাসী

পরীক্ষামূলক ট্রেনযাত্রার পর মঙ্গলবার পদ্মা সেতু দিয়ে রেল যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ফোকাস বাংলা

খুলনা ব্যুরো

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:৫৬ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ | ১৬:৫৬

পদ্মা সেতু হয়ে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্তে খুশি খুলনা অঞ্চলের মানুষ। তবে ভাড়া কমানোর পাশাপাশি ঢাকা-খুলনা সরাসরি ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছে তারা। বর্তমানে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি খুলনা থেকে যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ঢাকার পথে চলাচল করে।

রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী মাসের শুরুতে ট্রেনটি খুলনা থেকে যশোর, কুষ্টিয়ার পোড়াদহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, ভাঙ্গা হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের ফলে ঢাকা-খুলনা রুটের দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার। চলাচলে সময় বাঁচবে প্রায় ৩ ঘণ্টা। তবে নতুন এ পথে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে এ পথের সুন্দরবন এক্সপ্রেসের শোভন চেয়ার শ্রেণিতে ভাড়া ৫০৫ টাকা। পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনে এ শ্রেণির ভাড়া হবে ৬১৫ টাকা। এসি বার্থে বর্তমানে ভ্যাটসহ ভাড়া ১ হাজার ৭৩১ টাকা। পদ্মা সেতু হয়ে চলার ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে ১ হাজার ৮৩৫ টাকা, যা ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ হবে ২ হাজার ২১০ টাকা।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান বলেন, ‘পদ্মা সেতু দিয়ে সুন্দরবন এক্সপ্রেস চালানোর সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। তবে এখনও অনেক পথ ঘুরে ঢাকা যেতে হবে। দীর্ঘদিন খুলনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন দাবি করছি। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঢাকায় যেতে লাগে ৯ ঘণ্টা। পদ্মা সেতুর কারণে লাগবে প্রায় ৬ ঘণ্টা। অথচ এ সেতু দিয়ে বাসে লাগছে মাত্র ৪ ঘণ্টা। সরাসরি রেললাইন স্থাপন হলে খুলনাবাসী পদ্মা রেল সেতুর সুফল পুরোপুরি পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নতুন পথে দূরত্ব হ্রাসের কারণে ভাড়াও কমানো উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে অযৌক্তিকভাবে আরও বাড়ানো হয়েছে।’

খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব বাবুল হাওলাদার বলেন, ‘আরামদায়ক হওয়ায় বাসের চেয়ে অনেকেই ট্রেনকে পছন্দ করেন। কিন্তু পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে যেতে বাসের চেয়ে বেশি সময় লাগবে। খুলনা-ঢাকা সরাসরি রেললাইন স্থাপন হলে মানুষ সুফল পাবে।’

খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা জানান, তারা এখনও কোনো চিঠি পাননি। তবে নতুন পথের বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বর্তমানে খুলনা থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহে ৬ দিন রাত সোয়া ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস। আর ঢাকা থেকে বুধবার ছাড়া সপ্তাহে ৬ দিন সকাল সোয়া ৮টায় খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ট্রেনটি।

আরও পড়ুন