চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ছাত্র জোটের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ছাত্র জোটের নেতাকর্মী
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:১৩ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩ | ১৮:১৩
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) লিফলেট বিতরণকালে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতাকর্মীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রক্টরের কার্যালয়ের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি জোট নেতাদের।
তারা বলছেন, হামলাকারীরা চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের (সিএফসি) কর্মী হিসেবে পরিচিত। এ গ্রুপটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী। এ ঘটনার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ছাত্র জোটের নেতাকর্মী।
ছাত্রজোট নেতাকর্মীর অভিযোগ, আগামী শুক্রবার নগরীর লালদীঘি মাঠে ছয়টি দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ করবেন তারা। এ সমাবেশ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের জানাতে মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করছিলেন তারা। দুপুর ১২টার দিকে বিজ্ঞান অনুষদের সামনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী প্রথমে তাদের বাধা দেন। হাত থেকে লিফলেট ছিনিয়ে নিয়ে গালাগাল করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে কিছু না বলে উল্টো জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে ছাত্র জোট নেতাকর্মীকে প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর তাঁরা প্রক্টরের কার্যালয় থেকে ছাড়া পান। তবে ওই কার্যালয়ের সামনেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এক দফা তাদের মারধর করেছে।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপটি বর্তমানে দুটি ভাগে বিভক্ত। একটি ভাগের নেতৃত্ব দেন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব; আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দেন সাবেক সহসভাপতি মির্জা খবির সাদাফ। ছাত্র জোটের ওপর হামলার অভিযোগ আহসান হাবীবের অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে আহসান হাবীব বলেন, বাম সংগঠনগুলো যে ছয়টি দাবি জানিয়েছে, এর মধ্যে তিনটি রাষ্ট্র ও দেশবিরোধী। লিফলেটগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারকে ফ্যাসিবাদী উল্লেখ করে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানানো হয়েছে। আমরা এসবের প্রতিবাদ জানিয়েছি; কোনো হামলা করিনি।
প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘যেসব সংগঠনের নাম দিয়ে ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছিল, সেগুলোর কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে বহিরাগত নিয়ে এসে অনুমতি না নিয়ে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছিল। এটি অন্যায়।’
হামলা ও প্রক্টরের কার্যালয়ে বামজোটের নেতাকর্মীকে নিয়ে আসা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হামলার বিষয়ে আমি জানি না। ছাত্ররা তাদের ধাওয়া দিয়েছে– এমন খবরে প্রক্টরিয়াল বডি পাঠিয়েছিলাম যাতে সংগঠনের নেতাকর্মী হেনস্তার শিকার না হয়। সে কারণে তাদের প্রক্টরের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।’